
নয়াদিল্লি: অভিমুখ রইল এক। সে প্রধানমন্ত্রীই হোক আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। দিল্লির রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু যে এখন বিতর্কিত ১৩০ তম সংবিধান সংশোধনীই সেই কথাটাই বারংবার বুঝিয়ে দিলেন মোদী-শাহ। শুক্রবার কেরলের একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে জেপিসি কমিটিতে বিবেচনার জন্য পাঠানো বিল নিয়ে মুখ খুললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আর সেই বিল প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি তুলে ধরলেন দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালের কথা।
শাহ বললেন, যা স্বাধীনতার পর ৭৫ বছরে হয়নি, তাই করে দেখিয়েছেন অরবিন্দ কেজরীবাল। তিহাড় জেল থেকে বসে দিল্লির সরকার পরিচালনা করেছেন তিনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কথায় এটা ‘সাংবিধানিক নৈতিকতার’ পরিপন্থী।
এদিন কেরলে এক সংবাদমাধ্য়মে তিনি বলেন, “এই দেশের মানুষ কি এমন একজন মুখ্যমন্ত্রী চান, যিনি জেলে বসে সরকার চালাবেন? এটা আমরা কী নিয়ে আলোচনা করছি? এটা আসলে নৈতিকতাকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দেওয়া। এখন বিরোধীরা প্রশ্ন করছেন, কেন এই আইন আগে সংবিধানে নিয়ে আসা হয়নি? সংবিধান খসড়া তৈরির সময় সত্যি কি কেউ কোনও দিন ভেবেছিল যে জেলে বসেও সরকার চালানো যাবে?”
এরপরেই কেজরীবালের জেল যাওয়ার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “এই তো কয়েক দিন আগের ঘটনা, জেল থেকে বসেই এক মুখ্যমন্ত্রী সরকার চালালেন। আর এরপরেও আমরা সংবিধান সংশোধন করব না? আমাদের তো কখনও এমন পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয়নি। আর কেজরীবাল পদত্যাগ না করলে উনি আজও বদলাতেন না।”