ভোপাল: স্ত্রীয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে ধর্ষণ এবং গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী উমঙ্গ সিংঘারের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, তাঁর বিরুদ্ধে অস্বাভাবিক যৌনতা এবং অপরাধমূলক হুমকি দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে। তাঁর স্ত্রী আরও অভিযোগ করেছেন, গৃহ পরিচারিকার স্বামীর নামে বেনামি সম্পত্তি রেখেছেন উমঙ্গ। সেইসঙ্গে তাঁর এক সময়ের লিভ-ইন পার্টনারের আত্মহত্যার পিছনেও প্রাক্তন মন্ত্রীর হাত আছে বলে অভিযোগ জানিয়েছেন তাঁর স্ত্রী। তবে, উমঙ্গ সিংগার তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
কংগ্রেস বিধায়কের দাবি, তাঁর স্ত্রী তাঁকে ব্ল্যাকমেইল করছেন। উমঙ্গ সিংঘার জানিয়েছেন, গত ২ নভেম্বর স্ত্রীয়ের বিরুদ্ধে তিনি মানসিক নির্যাতন এবং হুমকি দেওয়ার অভিযোগ জানিয়েছিলেন। তাঁর স্ত্রী তাঁকে ১০ কোটি টাকার জন্য চাপ দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন উমঙ্গ। না দিলে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়েছিলেন স্ত্রী, এমনটাই দাবি কং বিধায়কের। প্রসঙ্গত, জনজাতির সম্প্রদায়ের অত্যন্ত শক্তিশালী নেতা হলেন সিংঘার। তিন-তিনবার বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী যমুনা দেবীর ভাইপো, কমল নাথের মন্ত্রীসভায় বনমন্ত্রী ছিলেন। বর্তমানে তিনি গন্ধওয়ানির বিধায়ক।
তিনি অস্বীকার করলেও, রাজ্যের বর্তমান মন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র এই ভয়ানক অভিযোগের প্রেক্ষিতে একহাত নিয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রীকে। নরোত্তম মিশ্র দাবি করেছেন, অতীতে আরও স্ত্রী ছিল উমঙ্গ সিংঘারের। তিনি বলেছেন, “প্রাক্তন মন্ত্রী উমঙ্গ সিংঘারের স্ত্রী তাঁর বিরুদ্ধে বিবাহের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন। পুলিশের দাবি অনুসারে, অতীতে তাঁর আরও স্ত্রী ছিল। নওগাও থানায় তাঁর বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের কার হয়েছে।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রাক্তন মন্ত্রীর স্ত্রী অভিযোগ করেছেন, ২০২১ সালের নভেম্বর মাস থেকে চলতি বছরের ১৮ নভেম্বরের মধ্যে উমঙ্গ সিংঘার তাঁকে যৌন হেনস্থা করেছেন। তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন, তাঁকে মারধর করেছেন। এর আগে সনিয়া ভরদ্বাজ নামে এক মহিলার সঙ্গে লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন উমঙ্গ সিংঘার। সেই মহিলা আত্মঘাতী হওয়ার পর, উমঙ্গের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। এবার তাঁর স্ত্রীও জানিয়েছেন, ওই আত্মহত্যার পিছনে উমঙ্গ সিংঘারের হাত ছিল। এই অভিযোগকে ঘিরে, এখন উত্তাল মধ্যপ্রদেশের রাজনীতি।