Rahul Gandhi marriage: বিয়ে করতে চান কিন্তু মেয়ে পাওয়া মুশকিল, কেন জানালেন রাহুল

TV9 Bangla Digital | Edited By: অমর্ত্য লাহিড়ী

Jan 23, 2023 | 3:17 PM

Rahul Gandhi marriage: দেশের 'মোস্ট এলিজেবল ব্যাচেলর'দের অন্যতম ধরা হয় রাহুল গান্ধীকে। এবার বিবাহ নিয়ে মুখ খুললেন ৫২ বছর বয়সী রাহুল গান্ধী।

Rahul Gandhi marriage: বিয়ে করতে চান কিন্তু মেয়ে পাওয়া মুশকিল, কেন জানালেন রাহুল
কেমন জীবনসঙ্গিনী চান, জানালেন রাহুল গান্ধী

Follow Us

শ্রীনগর: দেশের ‘মোস্ট এলিজেবল ব্যাচেলর’দের অন্যতম ধরা হয় রাহুল গান্ধীকে। ৫২ বসন্ত পেরিয়েও অবিবাহিত তিনি। ভারত জোড়ো যাত্রার মধ্যেই তিনি মুখ খুললেন বিবাহ নিয়ে। কংগ্রেস নেতা জানিয়েছেন, সঠিক মহিলা পেলেই তিনি বিবাহ করবেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, তাঁর বিয়ের ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি করেছে তাঁর বাবা-মা, অর্থাৎ রাজীব ও সনিয়া গান্ধীর বিবাহ। রাহুল গান্ধীর মতে, তাঁর বাবা-মা-এর সম্পর্কে এতটাই ভালবাসা ছিল, যে তাঁরা তাঁর জন্য বিয়ের মানদণ্ডটাই অনেক বড় করে দিয়েছেন। সেই মানদণ্ড অনুযায়ী জীবন সঙ্গিনী পাওয়া মুশকিল। তবে, এমনটা নয় যে জীবন সঙ্গিনীর অনেক গুণ থাকতে হবে। রাহুল জানিয়েছেন তিনি হবেন, “শুধুমাত্র একজন ভালবাসায় ভরা মানুষ, যিনি বুদ্ধিমতীও বটে।” এর আগে গত ডিসেম্বরে, আরেক সাক্ষাৎকারে রাহুল জানিয়েছিলেন যে মহিলার মধ্যে ইন্দিরা গান্ধী এবং সনিয়া গান্ধীর গুণের সমন্বয় ঘটেছে, এমন কোনও মহিলাকেই তিনি বিয়ে করবেন।

ভারত জোড়ো যাত্রা নিয়ে বর্তমানে জম্মু-কাশ্মীরে পৌঁছেছেন রাহুল গান্ধী। সেখানেই এক ইউটিউব চ্যানেলকে হাল্কা মেজাজে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তিনি। সেখানে তিনি শুধু বিবাহ নিয়ে নয়, মুখ খুলেছেন তাঁর প্রিয় খাবার, তাঁর বড় হয়ে ওঠার বছরগুলি, তাঁর শরীর চর্চার মতো বিষয় নিয়ে। রাহুল জানিয়েছেন, তিনি মটর এবং কাঁঠাল খেতে পছন্দ করেন না। এছাড়া তাঁর খাওয়া নিয়ে কোনও বায়নাক্কা নেই। বাড়িতে তিনি খুব কঠোর খাদ্যাভ্যাস মেনে চলেন, কিন্তু যাত্রায় বেরিয়ে তা বজায় রাখতে পারেননি। পথে তেলঙ্গনার খাবারে তাঁর বেশ ঝাল লেগেছে। এমনিতে তিনি দুপুরে যে কোনও দেশি খাদ্যপদ গ্রহন করেন, আর রাতে কন্টিনেন্টাল খানা। পছন্দের খাদ্যতালিকায় আছে চিকেন টিক্কা, শিক কাবাব, অমলেট। আর সকালে ঘুম ভেঙে উঠে এক কাপ কফি লাগবেই।


রাহুল আরও জানিয়েছেন, বড় হয়ে ওঠাটা তাঁর পক্ষে সহজ ছিল না। তিনি এক বোর্ডিং স্কুলে পড়তেন। কিন্তু ঠাকুমা ইন্দিরা গান্ধীর মৃত্যুর পর থেকে তিনি আর সেখানে যেতে পারেননি। নিরাপত্তাজনিত কারণে, বাড়িতেই পড়াশোনা করতে হয়েছিল। তারপর পড়তে গিয়েছিলেন সেন্ট স্টিফেন্স কলেজে। তারপর হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং রাজনীতি নিয়ে পড়াশোনা করেছিলেন। বাবার হত্যার পর তাঁকে যেতে হয় ফ্লোরিডার রোলিন্স কলেজে। ২৪-২৫ বছর বয়সে লন্ডনে একটি কর্পোরেট সংস্থায় চাকরি করতে ঢুকেছিলেন। প্রথম মাইনে পেয়েছিলেন ৩০০০ পাউন্ড।

নিজের ফিটনেস সম্পর্কে বলতে গিয়ে রাহুল জানিয়েছেন, ফিটনেস ধরে রাখতে স্কুবা ডাইভিং, ফ্রি ডাইভিং, সাইক্লিং, ব্যাগপ্যাকিং, আইকিদো মার্শাল আর্টের চর্চা করেন তিনি। কলেজ জীবন থেকেই প্রতিদিন নিয়ম করে কোনও না কোনও শারীরিক কসরতের অনুশীলন করেন তিনি। মার্শাল আর্ট সম্পর্কে তিনি বলেছেন, মার্শাল আর্টগুলি অপরকে আক্রমণ করার জন্যতৈরি করা হয়নি, বরং তার উল্টোটাই এর উদ্দেশ্য। ভারত জোড়ো যাত্রার মধ্যেও তিনি মার্শাল আর্টের ক্লাস করা ছাড়েননি।

Next Article