
মুম্বই: পাতে পড়ার আগেই আবার কি চোখে জল আনবে পেঁয়াজের দাম? বর্ষার মতিগতি দেখে তেমনটাই আশঙ্কা চাষি-ব্যবসায়ীদের। সময়ের আগেই এবার দেশে প্রবেশ করেছে বর্ষা। উত্তর, দক্ষিণ ও মধ্য ভারতে ব্যাপক বৃষ্টি হচ্ছে। হঠাৎ করে অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে ফসল নষ্ট হওয়ার ভয় পাচ্ছেন কৃষকরা। দেশের বৃহত্তম পেঁয়াজ উৎপাদক রাজ্য় মহারাষ্ট্র। সেখানে ইতিমধ্যেই কোটি কোটি টাকার পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে গিয়েছে।
বর্তমানে যেখানে ৩০টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে, সেখানেই আশঙ্কা যে জুন মাসের এক সপ্তাহ পেরতে পেরতেই তা দাম বেড়ে ৫০-৬০ টাকা কেজি এবং মাসের শেষভাগের মধ্যে প্রায় দ্বিগুণ দাম হয়ে যেতে পারে। এই আশঙ্কা অমূলক নয়।
মহারাষ্ট্রের পেঁয়াজ উৎপাদনকারী একটি সংগঠন দাবি করেছে যে বৃষ্টির জন্য নষ্ট হওয়া ফসলের জন্য প্রতি একর ১ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক। এরপরই প্রশ্ন উঠেছে, বর্ষার শুরুতেই যদি এমন হাল হয়, তবে কি আগামিদিনে পেঁয়াজের দাম আবার ৮০-৯০ টাকা বা ১০০ টাকা প্রতি কেজি হয়ে যাবে?
গত ২৯ মে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীসকে চিঠি লেখেন পেঁয়াজ চাষিরা। সেই চিঠিতে বলা হয়েছে, মে মাসে মহারাষ্ট্রে অতিবৃষ্টি হয়েছে। জলগাঁও, ধুলে, নাসিক, অহল্যানগর, ছত্রপতি সম্ভাজিনগর, পুণে, সোলাপুর, বিড, ধারাশিব, সাংলি, বুলধানা, আকোলা, পারভানি এবং জালনার মতো পেঁয়াজ উৎপাদনকারী জেলাগুলি বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফসল কাটার আগেই সমস্ত ফসল নষ্ট হয়ে গিয়েছে।
যারা জমি থেকে পেঁয়াজ তুলতে পেরেছিলেন, তারাও ক্ষতির মুখে পড়েছেন ভারী বৃষ্টির কারণে। হাজার হাজার টন পেঁয়াজ জমিতেই পচে গিয়েছে। ফলে কৃষকদের কোটি কোটি টাকার ক্ষতি হয়ে গিয়েছে। বিপুল পরিমাণে পেঁয়াজ নষ্ট হওয়ায় আগামিদিনে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বিগত বছরগুলিতেও এমন হয়েছে। বাফার স্টকের জন্য কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ৩ লক্ষ টন পেঁয়াজ কিনতে হবে বলে দাবি জানানো হয়েছে। কুইন্টাল পিছু ন্যূনতম ৩০০০ টাকা করে দাবি করেছেন কৃষকরা।