AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

দাড়ি কাটার ব্লেড দিয়ে পেট কাটল ‘হাতুড়ে ডাক্তার’, অতিরিক্ত রক্তপাতে মৃত্যু মা ও শিশুর

দাড়ি কাটার ব্লেড দিয়ে পেট কেটে শিশুটিকে বের করেন ওই হাতুড়ে চিকিৎসক (Quack)। এরপরই শিশুটির মৃত্যু হয়। অতিরিক্ত রক্তপাতের কারণে কিছুক্ষণ পরই প্রসূতি মায়েরও মৃত্যু হয়।

দাড়ি কাটার ব্লেড দিয়ে পেট কাটল 'হাতুড়ে ডাক্তার', অতিরিক্ত রক্তপাতে মৃত্যু মা ও শিশুর
প্রতীকী চিত্র।
| Updated on: Mar 20, 2021 | 4:23 PM
Share

সুলতানপুর: স্ত্রীর প্রসব ব্যাথ্যা উঠতেই তড়িঘড়ি একটি স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন স্বামী। কিন্তু হাতুড়ে চিকিৎসকের পাল্লায় পড়ে খোয়াতে হল স্ত্রী ও সন্তানকেও। ক্লাস এইটের গণ্ডিও পার করেননি অভিযুক্ত ব্যক্তি, কিন্তু স্থানীয় হাসপাতালে সার্জারি বিভাগেই কাজ করতেন তিনি। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত রাজেন্দ্র শুক্লা (৩০) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর প্রদেশের, সুলতানপুর জেলার বাসিন্দা পুনমের প্রসব ব্যাথ্যা উঠতেই স্বামী রাজারাম তাঁকে মা সারদা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই তাঁকে রাজেন্দ্র শুক্লা নামক ওই ব্যক্তি অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যান। সেখানেই দাড়ি কাটার ব্লেড দিয়ে সিজার অপারেশন করেন তিনি। ভূমিষ্ট হওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই শিশুটির মৃত্যু হয়। অতিরিক্ত রক্তপাতের কারণে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ওই মহিলারও মৃত্যু হয়।

আরও পড়ুন: সেনার হাতে আসছে ‘আত্মনির্ভর’ ক্ষেপণাস্ত্র, ‘উড়ে যাবে’ পাক-চিনের ট্যাঙ্ক

স্ত্রী ও সন্তানের মৃত্যুর পরই পুলিশের দারস্থ হন রাজারাম। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগের ভিত্তিতেই হাসপাতালে জেরার জন্য হাজির হয় পুলিশ। সেখানেই গোটা চক্রের পর্দাফাঁস হয়। পুলিশি জেরায় জানা যায়, চিকিৎসকের ডিগ্রি তো দূরের কথা, অভিযুক্ত রাজেন্দ্র শুক্লা ক্লাস এইটের গণ্ডিও পার করেননি। এরপরই হাসপাতালের মালিক রাজেশ সাহানিকে জেরা হয়। প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে জানা যায়, তাঁর কাছেও হাসপাতালের কোনও বৈধ কাগজ নেই। ধাই মা’দের সাহায্য নিয়ে তিনি চিকিৎসা চালাতেন।

তদন্তকারী পুলিশ অফিসার অরবিন্দ চতুর্বেদী বলেন, “তদন্তে জানা গিয়েছে যে ওই হাসপাতালের কোনও লাইসেন্স নেই। দাড়ি কাটার ব্লেড দিয়ে অপারেশন করা হত। হাসপাতালেরই এক নার্স পুনমের শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা করে বলেন যে তাঁর শারীরিক অবস্থা সঙ্কটজনক। দ্রুত যেন অন্য কোনও হাসপাতালে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয়। লখনউয়ের কেজিএমইউ ট্রমা সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।”

আরও পড়ুন: রাতে একা পেয়ে ধর্ষণের চেষ্টা, অভিযুক্তের যৌনাঙ্গ কেটে থানায় হাজির মহিলা