আহমেদাবাদ: হাসপাতালের ভিতরে পড়ে রয়েছে মা-মেয়ের মৃতদেহ। তবে আর পাঁচটা রোগীর মতো বেডে নয়, হাসপাতালের বিভিন্ন কোণ থেকে উদ্ধার হল সেই দেহ। একদিকে যেখানে মেয়ের মৃতদেহ পাওয়া গেল অপারেশন থিয়েটারে রাখা একটি আলমারির ভিতর থেকে, সেখানেই মায়ের দেহ পাওয়া গেল বেডের নীচ থেকে। গোটা ঘটনা জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়ায়। ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাটের (Gujarat) আহমেদাবাদে। ভুলভাই পার্কের কাছে একটি হাসপাতাল থেকে মা-মেয়ের দেহ উদ্ধার (Dead Body Recover) হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার আহমেদাবাদের ওই হাসপাতাল থেকে বছর ৩০-র এক যুবতীর দেহ উদ্ধার হয়। এরপরই পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ তল্লাশি চালাতেই ফাঁকা পড়ে থাকা এক রোগীর বেডের নীচ থেকে মৃত যুবতীর মায়ের মৃতদেহও উদ্ধার হয়। কীভাবে ওই দুইজনের মৃত্যু হয়েছে এবং কীভাবেই বা তাদের দেহ আলমারি ও বেডের নীচে পৌঁছল, তা নিয়ে রহস্য তৈরি হয়েছে।
জানা গিয়েছে, বিগত কয়েক দিন ধরেই হাসপাতাল থেকে পচা গন্ধ বের হচ্ছিল। হাসপাতালের কর্মীরা কিছুতেই বুঝতে পারছিলেন না কোথা থেকে সেই গন্ধ আসছে। এরপরে বুধবার এক সাফাই কর্মী হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে রাখা একটি আলমারি খোলে, সঙ্গে সঙ্গে আলমারির ভিতর থেকে গড়িয়ে পড়ে যুবতীর মৃতদেহ। রহস্যজনক দেহ উদ্ধার ঘিরে হাসপাতালে চাঞ্চল্য ছড়ায়। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। স্থানীয় থানা থেকে পুলিশ আধিকারিকরা এসে সেই দেহ উদ্ধার করে।
প্রাথমিক তদন্তের পর মৃত যুবতীর মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে, তাঁর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। এদিকে, পুলিশের আরেকটি দল গোটা হাসপাতালে তল্লাশি চালাচ্ছিল। সেখানেই তারা একটি বেডের নীচ থেকে যুবতীর মায়ের মৃতদেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিক সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই যুবতী ও তাঁর মা চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে এসেছিলেন। কীভাবে তাঁদের মৃত্যু হল, তা জানা যায়নি। তবে পুলিশের অনুমান, ওই যুবতী ও তাঁর মাকে খুন করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই মনসুখ নামে হাসপাতালের এক কর্মীকে সন্দেহের বশে আটক করা হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।