
নয়া দিল্লি: লোকাল ট্রেনে প্রতিদিন বহু মহিলা কর্মস্থলে যাতায়াত করেন। শুধু তাই নয়, দূরপাল্লার ট্রেনেও অনেক মহিলা যাত্রীরা একা যাতায়াত করেন। সে ক্ষেত্রে দীর্ঘ সময় ট্রেনে থাকতে হতে পারে, বিভিন্ন ধরেনর যাত্রীও থাকেন সেই ট্রেনে। সে ক্ষেত্রে মহিলাদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, তার জন্য নানারকম ব্যবস্থা রেখেছে রেল। রেলের সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য তাই জেনে রাখা প্রয়োজন।
১. যদি কোনও কারণে কোনও মহিলা গভীর রাতে ট্রেনে ভ্রমণ করেন এবং টিকিট না থাকে বা হারিয়ে গিয়ে থাকে, হলে টিটিই তাঁকে ট্রেন থেকে নামাতে পারবেন না। যদি ট্রেন থেকে নামিয়ে দেওয়ার জন্য জোর দেওয়া হয়, তবে মহিলা রেল কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানাতে পারেন। মহিলাকে নিরাপদ জায়গা দেখে তবেই নামানো হবে।
২. স্লিপার ক্লাসে প্রতি কোচে ৬ থেকে ৭টি নীচের বার্থ, এসি থ্রি টিয়ারে (3AC) প্রতি কোচে চার থেকে পাঁচটি নীচের বার্থ এবং এসি টু টিয়ারে প্রতি কোচে তিন থেকে চারটি নীচের বার্থ সংরক্ষিত থাকে মহিলাদের জন্য।
৩. অনলাইন বুকিং ছাড়াও, যেসব রিজার্ভেশন অফিসে কম্পিউটারাইজড সিস্টেম নেই এবং যেখানে মহিলা যাত্রীদের জন্য আলাদা কাউন্টার নেই, সেখানে মহিলা যাত্রীদের সাধারণ লাইনে দাঁড়াতে হবে না। আলাদাভাবে দাঁড়াতে পারেন তাঁরা।
৪. মহিলা যাত্রীরাও মেল বা এক্সপ্রেস ট্রেনের বগিগুলিতে অসংরক্ষিত শ্রেণিতে থাকতে পারবেন। শহরতলির ট্রেনগুলিতে আলাদা বগি বা কোচ পাওয়া যাবে। শহরতলির ট্রেন হল যাত্রীবাহী ট্রেন যা ১৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত পথ অতিক্রম করে।
৬. মহিলাদের জন্য বিশেষ কিছু ট্রেন আছে, যেগুলিকে লেডিস স্পেশাল বলা হয়। সেগুলি সম্পর্কে জেনে ওই ট্রেনে উঠতে পারেন।
৭. অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনে মহিলা যাত্রীদের জন্য বিশেষভাবে ওয়েটিং রুম তৈরি করা থাকে। নিয়ম অনুযায়ী, একটি পৃথক টয়লেটও থাকে মহিলাদের জন্য।