নয়া দিল্লি: এমনিতেই দেশে হু হু করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। তার উপরে আরও উদ্বেগ বাড়াল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ভারতেও ওমিক্রনের নতুন একটি সাব-ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ মিলেছে। বিএ.২.৭৫ নামক ওই ভ্যারিয়েন্টটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে বলেই জানান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিরেক্টর জেনারেল টেড্রোস আধানম গ্রেবেয়াসিস। তিনি বলেন, “বিগত দুই সপ্তাহ ধরে বিশ্বে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ৬টি সাব-রিজিওনের মধ্যে ৪টি অঞ্চলেই বিগত এক সপ্তাহে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।”
হু প্রধান বলেন, “ইউরোপ ও আমেরিকায় বিএ.৪ ও বিএ.৫ ভ্যারিয়েন্টের কারণেই করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। অন্যদিকে, ভারতের মতো দেশগুলিতে বিএ.২.৭৫ ভ্যারিয়েন্টের সাব-লিনিয়েজর খোঁজ মিলেছে। আমরা এই বিষয়ে নজর রাখছি।”
এদিকে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথন টুইটারে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে বলেন, “বিএ.২.৭৫ সাব ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ ভারতে প্রথম মিলেছে। এছাড়াও ১০টি দেশে এই সাব ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ মিলেছে। সীমিত সংখ্যকই সাব-লিনিয়েজের খোঁজ মিলেছে। তবে এই সাব-ভ্যারিয়েন্টের স্পাইক প্রোটিনে বেশ কয়েকবার মিউটেশন হয়েছে। এই ভ্যারিয়েন্ট গুরুতর আকার ধারণ করতে পারে কি না বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ফাঁকি দেওয়ার ক্ষমতার রাখে কি না, সে সম্পর্কে এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়। গোটা বিষয়টির দিকে আমরা নজর রাখছি। এর জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।”
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার টেকনিক্যাল অ্যাডভাইসরি গ্রুপের তরফেও জানানো হয়েছে, করোনা ভাইরাসের বিবর্তনের উপরে নিয়মিত নজরদারি করা হচ্ছে। যখনই কোনও ভাইরাসের উৎপত্তি হয় এবং তা আগের ভাইরাসের থেকে আলাদা হয়, সেই সময় আমরা তাকে ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন বা উদ্বেগের কারণ হিসাবে চিহ্নিত করি। বিগত চার সপ্তাহ ধরেই করোনা আক্রান্তের হার ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ২৭ জুন থেকে ৩ জুলাইয়ের মধ্যে বিশ্বে ৪৬ লক্ষ আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে।
মূলত ওমিক্রনের যে ভ্যারিয়েন্টগুলি বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে, তার মধ্যে অন্যতম হল বিএ.৫ ও বিএ.৪। বিএ.৫ ভ্যারিয়েন্টটি ৮৩টি দেশে খোঁজ মিলেছে। অন্যদিকে, বিএ.৪ ভ্যারিয়েন্টটি ৭৩টি দেশে পাওয়া গিয়েছে।