India Slams Pakistan: ‘সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্রস্থল কোথায়, গোটা বিশ্ব জানে’, পাকিস্তানের মুখোশ খুলে দিল ভারত

India Slams Pakistan: বালোচিস্তানে আস্ত একটি ট্রেনকেই ছিনতাই করে বালুচ লিবারেশন আর্মি। পণবন্দি বানায়  জাফর এক্সপ্রেসে থাকা ৪৫০-রও বেশি যাত্রীকে। সেই ঘটনাতেই ভারতের কাঁধে দোষ ঠেলার চেষ্টা পাকিস্তানের। ইসলামাবাদের দাবি, ভারত এই সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপকে সমর্থন করছে।

India Slams Pakistan: সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্রস্থল কোথায়, গোটা বিশ্ব জানে, পাকিস্তানের মুখোশ খুলে দিল ভারত
ফাইল চিত্র।Image Credit source: X

|

Mar 14, 2025 | 10:55 AM

নয়া দিল্লি: আবার পাকিস্তানের মিথ্যাচার। চুপ করে রইল না ভারতও। “সন্ত্রাসবাদের ভরকেন্দ্র কোথায়, তা গোটা বিশ্ব জানে”-এই ভাষাতেই পাকিস্তানকে যোগ্য জবাব দিল ভারত। হঠাৎ কী নিয়ে বাঁধল এই তর্ক-বিতর্ক?

চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবার পাকিস্তানের বালোচিস্তানে আস্ত একটি ট্রেনকেই ছিনতাই করে বালুচ লিবারেশন আর্মি। পণবন্দি বানায়  জাফর এক্সপ্রেসে থাকা ৪৫০-রও বেশি যাত্রীকে। সেই ঘটনাতেই ভারতের কাঁধে দোষ ঠেলার চেষ্টা পাকিস্তানের। ইসলামাবাদের দাবি, ভারত এই সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপকে সমর্থন করছে।

পাকিস্তানের এই মিথ্যা দাবির প্রতিবাদ জানিয়ে এ দিন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “পাকিস্তানের ভিত্তিহীন মিথ্যা দাবি খারিজ করছি আমরা। গোটা বিশ্ব জানে সন্ত্রাসবাদের ভরকেন্দ্র কোথায়।”

তিনি আরও বলেন, “অন্যের দিকে আঙুল তোলা এবং নিজেদের অভ্যন্তরীণ সমস্যা ও ব্যর্থতার জন্য অন্যকে দোষারোপ করার আগে পাকিস্তানের নিজের দিকে তাকানো উচিত।”

প্রসঙ্গত, স্বাধীনতার সময় থেকেই পাকিস্তানের চিন্তার কারণ বালোচিস্তান। এর আগেও একাধিকবার বালোচের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীরা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ, প্রতিবাদ করেছে। নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে পাকিস্তান প্রায়সময়ই ভারতের ঘাড়ে দোষ চাপায়, বলে যে ভারত এই বালোচ জঙ্গি গোষ্ঠীদের সমর্থন করে। তবে এবারের জাফর এক্সপ্রেসে হামলার ঘটনায় পাকিস্তান আফগানিস্তানের ঘাড়ে দোষ চাপিয়েছে।

পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র শাফাকত আলি খান বলেছেন, “আমাদের নীতিতে কোনও পরিবর্তন আসেনি। ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে মদত দেয়। এই ঘটনায় (জাফর এক্সপ্রেস হাইজ্যাক) আমাদের কাছে প্রমাণ রয়েছে যে আফগানিস্তানের যোগ রয়েছে।”

পাকিস্তানের দাবি, জাফর এক্সপ্রেসে হামলাকারীরা আফগানিস্তানের সঙ্গে যুক্ত। যদিও আফগানিস্তানের তালিবান প্রশাসন এই দাবি অস্বীকার করেছে।