Modi in Punjab : “পূর্বপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র, জানত পুলিশ” পঞ্জাবে মোদীর নিরাপত্তা লঙ্ঘন নিয়ে দাবি যোগী, হিমন্তর
PM Modi : পঞ্জাবে প্রধানমন্ত্রীর কনভয়ে নিরপত্তা লঙ্ঘন "পূর্বপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র"। বুধবার এরকমই অভিযোগ এনেছেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
পঞ্জাবে প্রধানমন্ত্রীর কনভয়ে নিরপত্তা লঙ্ঘন “পূর্বপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র”। বুধবার এরকমই অভিযোগ এনেছেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তিনি অভিযোগ তুলেছেন, পঞ্জাব কর্তৃপক্ষ প্রধানমন্ত্রী সফরের জন্য যথাযথ প্রোটোকল অনুসরণ করেনি। যোগী আদিত্য়নাথ বলেছেন, চরণজিৎ সিং চান্নি পরিচালিত পঞ্জাবের কংগ্রেস সরকারের উচিত প্রধানমন্ত্রীর কাছে ‘ক্ষমা’ চাওয়া। সংবাদ সংস্থা এএআই সূত্রে খবর, যোগী আদিত্যনাথ বলেছেন, “পঞ্জাব সরকার যথাযথভাবে প্রোটোকল অনুসরণ করেনি। সেইখানে ড্রোন হামলা বা অন্য এই ধরনের যেকোনও হামলা করা হতে পারত। কিন্তু পঞ্জাব সরকার এই গোটা বিষয়টির প্রতি উদাসীন ছিল। কংগ্রেসের দেশের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত।” এই প্রসঙ্গে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা অভিযোগ করেন, মোদীর যাত্রাপথে বিক্ষোভের কথা আগেভাগেই জানত পুলিশ।
উল্লেখ্য়া, গত ৫ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পঞ্জাবের ভাতিন্ডায় উড়ে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে তাঁর ফিরোজপুরের হুসেইনিওয়ালাতে প্রকল্পে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা ছিল। খারাপ আবহাওয়ার কারণে কোনওরকম দুর্ঘটনা এড়াতে আকাশপথে না গিয়ে সড়ক পথে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু ফিরোজপুর যাওয়ার পথে ফ্লাইওভারে ১৫-২০ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকে তাঁর কনভয়। ফ্লাইওভারে বেশ কয়েকজন কৃষক রাস্তা আটকে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছিলেন। তারপর প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় ব্যাঘাতের কারণে তাড়াতাড়ি তাঁকে পুনরায় ভাতিন্দা বিমানবন্দরে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় একটি “প্রধান ত্রুটি” বলে বর্ণনা করেছে।
গোটা দেশ জুড়ে বিজেপি নেতা-নেত্রীরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা এই ঘটনায় কংগ্রেস শাসিত পঞ্জাব সরকারের প্রতি আক্রমণ শানিয়েছেন। তাঁরা অভিযোগ এনেছেন, রাজ্য কর্তৃপক্ষ ইচ্ছাকৃতভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নিরাপত্তাকে ঝুঁকির মধ্য়ে ফেলেছেন। এই ঘটনায় অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা দাবি করেছেন যে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঘটনাটি একটি ‘ষড়যন্ত্র’। এই বিষয়ে হিমন্ত বিশ্ব শর্মা আরও বলেন, “এই নিরাপত্তা লঙ্ঘন নিয়ে একটি স্টিং অপারেশন করা হয়েছে। স্টিং অপারেশনে পঞ্জাব সিআইডি ডিএসপি সুখদেব সিংকে বলতে শোনা গিয়েছে, ফ্লাইওভারে বিক্ষোভটি খালিস্তানি সমর্থকদের দ্বারা সংগঠিত হয়েছিল, কৃষকদের দ্বারা নয়। এই ষড়যন্ত্রের তথ্য়াদি ২ জানুয়ারি সিনিয়র এসএসপি কে দেওয়া হয়েছিল।”
উল্লেখ্য, পঞ্জাব সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নিরাপত্তা লঙ্ঘনের বিষয়টির তদন্ত শুরু করেছে সুপ্রিম কোর্ট। সেই তদন্তের জন্য অবসরপ্রাপ্ত সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ইন্দু মালহোত্রার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ) এর ডিরেক্টর জেনারেল বা তার মনোনীত ব্যক্তি আইজি পদমর্যাদার নিচে নয়, চণ্ডীগড়ের ডিজিপি, পঞ্জাবের এডিজিপি (নিরাপত্তা), এবং পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল।