কলকাতা: পুরো দমে চলছে বিয়ের মরসুম। আমাদের আশপাশে রোজই প্রায় বিয়ে হচ্ছে। ভারতীয় বিয়েতে খাওয়া-দাওয়ার এক বিশাল ভূমিকা রয়েছে। অনেক সময় ভোজের আয়োজন নিয়ে দ্বন্দ্বে বিয়ে ভেঙে পর্যন্ত যায়। বিয়ের আমন্ত্রণ পাওযার পরই অনেকে খাদ্যতালিকাও জানতে চায়। কী খাবে, কী খাবে না, তাই নিযে চিন্তা করতে শুরু করে দেয়। আর আরেকদল মানুষ আছে, যারা বিনা আমন্ত্রণেই ঢুকে পড়ে যে কোনও বিয়ে বাড়িতে। চুপি চুপি খাওয়া দাওয়া সেরে বেরিয়ে যায়।
বিয়েবাড়িতে নিমন্ত্রণ ছাড়াই খেতে আসা এই মানুষের দলে স্কুল-কলেজের ছাত্র বা হোস্টেল-মেসে বসবাসকারী ব্যাচেলরদের সংখ্যাই বেশি থাকে। অনেক সময় বন্ধু-বান্ধবরা বাজি ধরেও অপরিচিত বিয়ে বাড়িতে খেতে চলে যায়। তবে, আমাদের গরীব দেশে এমন কিছু পরিবারও আছে, যারা সংগঠিতভাবে বিয়েতে খেতে যায়। অন্তত একটা দিন ভাল খাদ্যের লোভে, আমন্ত্রণ ছাড়াই ভাল পোশাক পরে চলে যায় বিয়ে বাড়িতে। কিন্তু, আপনি কি জানেন, কোনও বিয়ের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ ছাড়া খেতে গিয়ে ধরা পড়লে দুই থেকে সাত বছরের জন্য জেল হতে পারে?
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ইনস্টাগ্রামে, এই নিয়ে মুখ খুলেছেন আইনজীবী উজ্জ্বল ত্যাগী। তিনি জানিয়েছেন, যারা বিয়েতে বিনা আমন্ত্রণে খেতে যাওয়াটা আইনের চোখে অপরাধ। ধরা পড়লে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৪২ এবং ৪৫২ ধারায় তাদের দুই থেকে সাত বছরের জেল হতে পারে। দুটি ধারাই কোনও বাড়িতে অনধিকার অনুপ্রবেশ সংক্রান্ত। আইনজীবী উজ্জ্বল ত্যাগীর মতে, বিয়েতে নিমন্ত্রণ ছাড়া খাওয়াটা, অনধিকার অনুপ্রবেশের সামিল। কাজেই এই কাজ করলে ভারতীয় দণ্ডবিধির এই দুই ধারায় শাস্তি দেওয়া যেতে পারে।
আইনজীবীর এই সোশ্য়াল মিডিয়া পোস্ট মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়েছে। অনেকেই এই বিষয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। একজন লিখেছেন, তাহলে ভারতের অধিকাংশ হোস্টেলবাসীরই জেল হওয়া উচিত। একজন লিখেছেন, ভারতে কিন্তু, বিনা আমন্ত্রণে আসা অতিথিদেরও সম্মান করা হয়। আরেকজন লিখেছেন, ভিডিয়োটি দেখে তাঁর বোধোদয় হয়েছে। তিনি অতীতে এই কাজ অসংখ্যবার করেছেন। কিন্তু, আইনজীবীর ভিডিয়োটি দেখার পর, আর বিনা নিমন্ক্রণে কোনও বিয়ে বাড়িতে খেতে যাবেন না।