
নয়াদিল্লি: ইউটিউবার হিসেবে নিজেকে তুলে ধরা কি শুধু খোলস ছিল জ্যোতি মালহোত্রার? পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির জন্যই কি এ কাজ করতেন? জ্যোতিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে একের পর এক যত বিস্ফোরক তথ্য সামনে আসছে, ততই এই প্রশ্ন উঠছে। এবার আরও একটি বিস্ফোরক তথ্য সামনে এল। শুধু দিল্লিতে পাক দূতাবাসের কর্মী দানিশ নয়, পাকিস্তানের এক প্রাক্তন পুলিশ অফিসারের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল হরিয়ানার ইউটিউবার জ্যোতির।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, পাকিস্তান পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত সাব ইন্সপেক্টর নাসির ধিলোঁর সঙ্গে যোগাযোগ ছিল জ্যোতি মালহোত্রার। পুলিশের চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পরে একটি ইউটিউব চ্যানেল চালান নাসির। সূত্রের খবর, আইএসআই এবং পাকিস্তান সেনার নির্দেশে ভারতের ইউটিউবার জ্যোতির সঙ্গে তিনি বন্ধুত্ব করেন। জ্যোতি যখন প্রথমদিকে পাকিস্তানে গিয়েছিলেন, তখন নাসিরের একটি পডকাস্টে তিনি অংশ নেন।
তদন্তে জানা গিয়েছে, ভারতীয় ইউটিউবারদের নাগাল পেতে নাসিরকে ব্যবহার করেছে আইএসআই। নাসির প্রথমে ভারতীয় ইউটিউবারদের সঙ্গে পরিচয় করতেন। তারপর ধীরে ধীরে বন্ধুত্ব বাড়লে আইএসআই এজেন্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দিতেন। ভারতের প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে গোপন তথ্য আদায়ের চেষ্টা করা হত।
দিল্লিতে পাকিস্তানি দূতাবাসের প্রাক্তন কর্মী এহসান উর রহিম ওরফে দানিশের সঙ্গেও যোগাযোগ ছিল নাসিরের। এই দানিশের আমন্ত্রণেই দিল্লিতে পাক দূতাবাসের অনুষ্ঠানে দেখা গিয়েছে বছর ছত্রিশের জ্যোতিকে। গত ১৩ মে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে দানিশকে পাকিস্তানে ফেরত পাঠায় নয়াদিল্লি। গত ১৬ মে জ্যোতিকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর একে একে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার মধ্যে জ্যোতিকে জিজ্ঞাসা করে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য সামনে আসছে।