ভোপাল: মধ্যপ্রদেশের ভোপাল ও তেলঙ্গানার হায়দরাবাদ থেকে গত সপ্তাহে ১৬ জকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। হিজাব-উত-তাহরির নামে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যোগ রয়েছে এই সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছে ওই ১৬ জন অভিযুক্তকে। অভিযুক্তরা মধ্য প্রদেশে জঙ্গি হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছিলেন বলে অভিযোগ মধ্য প্রদেশ অ্যান্টি টেরোরিজম স্কোয়াডের। মধ্য প্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র জানিয়েছেন ধৃতদের মধ্যে এক প্রফেসর, জিম প্রশিক্ষকও রয়েছেন। এবং ধৃতদের মধ্যে কয়েক জনের বিরুদ্ধে ধর্মান্তকরনের অভিযোগও রয়েছে। মধ্য প্রদেশ অ্যান্টি টেরোরিজম স্কোয়াডের হাতে ধৃতদের মধ্যে অন্যতম হলেন সৌরভ ওরফে মহম্মদ সালেম। সৌরভকে গ্রেফতারি নিয়ে সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর সঙ্গে কথা বলেছেন তাঁর বাবা। নিজের ছেলের পরিবর্তনের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সৌরভ ওরফে মহম্মদ সালেমের বাবা এক জন আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক। তাঁর নাম অশোক রাজ বৈদ্য। তিনি জানিয়েছেন ২০১১ সাল থেকেই সৌরভের মধ্যে পরিবর্তন লক্ষ্য করেন। তাঁর কথাবার্তার ধরন পাল্টে যায়। এ ব্যাপারে অশোক রাজ বৈদ্য বলেছেন, “২০১১ সাল থেকে ইসলামের দিকে ঝুঁকে পড়ে সৌরভ। আমাদের পরিবারের অনুষ্ঠান থেকেও দূরত্ব বাড়াতে শুরু করে সে। কিছু দিন পর দেখি তার স্ত্রীও ইসলামিক পোশাক পরছে। এর পর আমরা তাকে বাড়ি থেকে চলে যেতে বলি।” বিষয়টি পুলিশের কাছেও জানিয়েছিলেন বলে দাবি সৌরভের বাবার। কিন্তু স্বেচ্ছায় সৌরভ ইমলাম ধর্ম গ্রহণ করায় পুলিশ কিছু করতে পারেনি।
এর পর ভারতে নিষিদ্ধ জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন অশোক বৈদ্য। তিনি জানিয়েছেন, সৌরভ যখন কলেজে পড়তেন তখন কামাল নামে এক ব্যক্তির যোগাযোগ হয়েছিল। এ ব্যাপারে অশোক বলেছেন, “কলেজে পড়ার সময় কামাল নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে উঠেছিল সৌরভের। পরে জানতে পারি, কামাল জাকির নায়েকের এক জন এজেন্ট। কামালকে পুলিশ পরে গ্রেফতারও করেছিল। সেই আমার ছেলেকে ইসলামিক প্রার্থনা শিখিয়েছিল।” তাঁর ছেলে কম্পিউটারে জাকির নায়েকের ভিডিয়ো দেখতেন বলেও জানিয়েছেন ওই আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক। এ ব্যাপারে তিনি বলেছেন, “সৌরভের ঘর থেকে আমি ইসলামিক বই পেয়েছিলাম। ইসলাম নিয়ে সৌরভের মুখে অনেক কথা শোনা যেত।” যদিও বৈদ্য মনে করছেন তাঁর ছেলে জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত নন। কিন্তু ইসলাম ত্যাগ না করলে তিনি বাড়িতে ঢোকার অনুমতি দেবেন না বলেও জানিয়েছেন।