নয়া দিল্লি: জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য ফের আরেকটি করোনা টিকাকে ছাড়পত্র দিল ভারতীয় ড্রাগ কন্ট্রোল বোর্ড। সূত্রের খবর, স্বদেশি প্রযুক্তির সাহায্যে নির্মিত জ়াইডাস ক্যাডিলার টিকা জাইকভ ডি-কে এই ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। তিন ডোজ়ের এই টিকা দিতে অবশ্য চামড়ায় সূচ ফোটানোর প্রয়োজন হবে না বলেই জানা গিয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োগের আবেদনে ছাড়পত্র মেলায় আগামী অক্টোবর মাসের মধ্যে এই টিকার ব্যবহার শুরু হয়ে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
করোনার বিরুদ্ধে এই জ়াইডাস ক্যাডিলার ভ্যাকসিনের কার্যকারিতার হার প্রায় ৬৬.৬ শতাংশ। ক্লিনিকাল ট্রায়ালে কিছু ক্ষেত্রে অবশ্য সাফল্যের হার ৭০ শতাংশেরও বেশি। যেহেতু জাইডাস ক্যাডিলাই সবার প্রথম ডিএনএ ভিত্তিক কোভিড ভ্যাকসিন তৈরি করেছে, তাই এই ভ্যাকসিন ১২ বছরের উর্ধ্বদের ক্ষেত্রেও প্রয়োগ করা যাবে। জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের ক্ষেত্রে ছাড়পত্র পাওয়ার পর যদি সাধারন ব্যবহারেও ছাড়পত্র দেওয়া হয়, তবে এটি হবে দেশের ষষ্ঠ ভ্যাকসিন। ইতিমধ্যেই কোভিশিল্ড, কোভ্যাক্সিন, স্পুটনিক ভি, মর্ডানা এবং জনসন অ্যান্ড জনসনের ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দিয়ে দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবারই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য জানিয়েছেন, শীঘ্রই ভারতে শিশুদের জন্য করোনা টিকা মিলবে। ভারত বায়োটেক ও জাইডাস ক্যাডিলার মতো সংস্থায় ইতিমধ্যেই শিশুদের ভ্য়াকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু করা হয়েছে। সেপ্টেম্বরের মধ্যেই এই ট্রায়ালের ফলাফল পাওয়া যাবে। তার ভিত্তিতেই অনুমোদন দেওয়া হবে। গতমাসে দিল্লির এইমসের প্রধান ডাঃ রণদীপ গুলেরিয়াও জানিয়েছিলেন, সেপ্টেম্বরের মধ্যেই দেশে শিশুদের টিকাকরণের জন্য দুটি ভ্য়াকসিনের অনুমোদন মিলতে পারে। শিশুদের টিকাকরণ শুরু হয়ে গেলে সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙতে আরও সুবিধা হবে বলেই জানান তিনি।
গতমাসে ভারতের ওষুধ নিয়ামক সংস্থার তরফেও সেরাম ইন্সটিটিউট অব ইন্ডিয়াকে দুই থেকে ১৭ বছর বয়সী ৯২০ জনের উপর কোভোভ্যাক্সের দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফার ট্রায়ালের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। মূলত নির্দিষ্ট সংখ্যক কিছুজনের উপর ভ্যাকসিন প্রয়োগ করে টিকার সুরক্ষা ও কার্যকারিতা পরীক্ষা করাকেই ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল বলা হয়।
করোনা সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউয়ে শিশুরাই অধিক সংক্রমিত হতে পারে, এই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন চিকিৎসক-গবেষকরা। অন্যদিকে, প্রায় বিগত দেড় বছর ধরেই স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় শিক্ষা ব্যবস্থা ও শিশুদের মানসিকতার উপরও ব্যপক প্রভাব পড়েছে। সেই কারণেই সংক্রমণ কিছুটা কমতেই ধীরে ধীরে ফের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি খুলে দেওয়া হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে শিশুদের টিকাকরণ অত্যন্ত জরুরি বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বরেই মিলবে কি শিশুদের আরও একটি টিকা? ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের আবেদন জনসনেরও