100 Days Work: ‘বহিরাগত বাংলা বিরোধী জমিদারদের জন্য বড় পরাজয়’, একশো দিনের মামলায় বড় জয়ের পরই পোস্ট অভিষেকের

100 Days Work: সাংবাদিক বৈঠক করে সুকান্ত বলেন, "যে হাইকোর্টের রায় নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস লাফাচ্ছে, পরিস্কার সেখানে আদালত উল্লেখ করেছে, কেন্দ্রীয় টিম নির্দিষ্ট কিছু অনিয়মের কথা রিপোর্টে তুলে ধরেছে। কিছু অর্থ পুনরুদ্ধারও করা হয়েছে। সেই অর্থ রাজ্যের MGNREGA-নোডাল অ্যাকাউন্টে রাখা রয়েছে। এটা আদালতের পর্যবেক্ষণ।"

100 Days Work: বহিরাগত বাংলা বিরোধী জমিদারদের জন্য বড় পরাজয়, একশো দিনের মামলায় বড় জয়ের পরই পোস্ট অভিষেকের
একশো দিনের মামলার রায় নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও সুকান্ত মজুমদারImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Oct 27, 2025 | 6:09 PM

কলকাতা: একশো দিনের কাজের মামলায় সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেল কেন্দ্রীয় সরকার। কাটল বাধা। কেন্দ্রের আবেদন খারিজ শীর্ষ আদালতের। হাইকোর্টের নির্দেশই বহাল রাখল সুুপ্রিম কোর্ট। ৩ বছর পর একশো দিনের কাজ শুরু করতে পারবে রাজ্য। এই প্রকল্পের বাংলার বকেয়া টাকা মঞ্জুর করতে কেন্দ্রকে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তাতে স্বাভাবিকভাবেই বিজেপিকে খোঁচা দিচ্ছে শাসকদল। সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে ‘জমিদারদের পরাজয়’ বলে বিজেপিকে খোঁচা দিয়েছেন তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু আদালত যে একশো দিনের কাজে দুর্নীতির অভিযোগকে মান্যতা দিয়েছে, সেই বিষয়টিকেই তুলে ধরছেন বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। তাঁর বক্তব্য, আদালতের রায়ে স্পষ্ট  আগের বকেয়া টাকা কেন্দ্রকে দিতে হবে না, কারণ সেই টাকা নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছয়নি।

সাংবাদিক বৈঠক করে সুকান্ত বলেন, “যে হাইকোর্টের রায় নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস লাফাচ্ছে, পরিস্কার সেখানে আদালত উল্লেখ করেছে, কেন্দ্রীয় টিম নির্দিষ্ট কিছু অনিয়মের কথা রিপোর্টে তুলে ধরেছে। কিছু অর্থ পুনরুদ্ধারও করা হয়েছে। সেই অর্থ রাজ্যের MGNREGA-নোডাল অ্যাকাউন্টে রাখা রয়েছে। এটা আদালতের পর্যবেক্ষণ।” সুকান্তর কথায়, “অর্থাৎ আদালতও মেনে নিয়েছে দুর্নীতি হয়েছে। আদালতের তরফ থেকে আরও অনেক পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যেমন নোডাল অফিসার বসানো, কেন্দ্র চাইলে যে কোনও জায়গায় তদন্ত করতে পারে।” তাঁর মতে, কেন্দ্রীয় সরকারের দাবিকে কলকাতা হাইকোর্ট প্রতি ক্ষেত্রে সমর্থন করেছে।


তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে অস্ত্র করেই সামাজিক মাধ্যমে তোপ দেগেছেন। তিনি লিখেছেন, “বহিরাগত বাংলা বিরোধী জমিদারদের জন্য বড় পরাজয়।” এই রায়কে ঐতিহাসিক বলে অ্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, “বাংলাকে দমিয়ে রাখার চেষ্টাকারীদের গালে গণতান্ত্রিক থাপ্পড়। বিজেপি অহংকারের সীমা ছাড়িয়েছে। জনগণের ভোট ও আদালতে হার হয়েছে চক্রান্তকারীদের।” উল্লেখ্য, একশো দিনের কাজের টাকা চেয়ে  দিল্লিতে ধরনা অবস্থানে বসেছিলেন অভিষেক। ঝড় তুলেছিলেন সংসদেও।

যদিও অভিষেকের এই বক্তব্য নিয়ে খোঁচা দিয়েছেন সুকান্ত। তাঁর বক্তব্য, “হয়তো আদালতের রায় পড়েও দেখেননি। এই রায়ের মধ্যে এমন কিছু বিষয় রয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার চাইলেই সেটা করতে পারে। তাতে আর শাসক নেতৃত্বের ট্যা ফু করার জায়গা থাকবে না। বহিরাগত তো সবাই।”

যদিও তাতে রাজ্যের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “অভিযোগ করলেই হবে না, প্রমাণ করতে হবে। অগাস্ট মাস থেকেই টাকা দিতে হবে। দুর্নীতির প্রমাণটা কোথায়?”

অন্যদিকে, মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “এই টাকা তো বিজেপির নয়। ভারতের বাসিন্দার ট্যাক্সের টাকা। বঞ্চনা হলে প্রতিবাদ হবেই।”