
কলকাতা: হোটেলে ৪২টি রুম। আর সবমিলিয়ে ৮৮ জন গেস্ট। স্টাফের সংখ্যা ৬০। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মেছুয়া বাজারে ওই হোটেলেই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আগুন নেভানোর পর একের পর এক দেহ উদ্ধার করেন উদ্ধারকারীরা। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ১৪ জনের মধ্যে ১১ জন পুরুষ। একজন মহিলা। একজন নাবালক ও একজন নাবালিকা। মৃতদের তালিকায় ভিনরাজ্যের বাসিন্দারা রয়েছেন। এদিকে, অগ্নিকাণ্ডের তদন্তে সিট গঠন করেছে কলকাতা পুলিশ।
গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ মেছুয়া বাজার সংলগ্ন ওই হোটেলে আগুন লাগে। দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আতঙ্কে হুড়োহুড়ি শুরু হয়। হোটেলের ছাদে উঠে যান অনেকে। আবার হোটেলের দুই কর্মী প্রাণ বাঁচাতে নিচে ঝাঁপ দেন। তাঁদের একজনের প্রথমে মৃত্যু হয়। বাকি ১৩ জনের শ্বাসরোধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, অগ্নিকাণ্ডে অসুস্থ হয়ে পড়েন মোট ১৩ জন। তার মধ্যে ১২ জনকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এখন একজন ভর্তি রয়েছেন।
তিনটি হাসপাতালে ১৪ জনের মৃতদেহ পাঠানো হয়েছে। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয় ৪ জনের দেহ। তার মধ্যে একজনের নাম জানা গিয়েছে। বছর একষট্টির ওই ব্যক্তির নাম এস মুথ্থু কৃষ্ণন। তিনজনের নাম এখনও জানা যায়নি। এনআরএস হাসপাতালে পাঁচজনের দেহ পাঠানো হয়েছে। তাঁদের প্রত্যেকের নাম জানা গিয়েছে। তাঁদের নাম, দীপ্তেন্দ্র রাম (৪৬), পি রাউত (৩ বছর ৮ মাস), পি দিয়া (৮ বছর), প্রণয় পাঠক (১৩) এবং আরাধ্যা আগরওয়াল (২২)। আরজি কর হাসপাতালে পাঁচজনের দেহ পাঠানো হয়েছে। তার মধ্যে ২ জনের পরিচয় জানা গিয়েছে। একজনের নাম রাজেশ কুমার সান্টুকা। বছর একষট্টির ওই ব্যক্তির বাড়ি ওড়িশায়। অন্যজনের নাম নীরজ কুমার। বছর কুড়ির ওই যুবক বিহারের ভাগলপুরের বাসিন্দা। তিনজনের নাম এখনও জানা যায়নি।