SSC Group D: ১৯১১ জনের চাকরি বাতিল, ফেরত দিতে হবে বেতন, বসতে পারবে না সরকারি চাকরির পরীক্ষাতেও

TV9 Bangla Digital | Edited By: সোমনাথ মিত্র

Feb 10, 2023 | 2:44 PM

SSC Group D: তিন সপ্তাহ পর ১৪ মার্চ ফের এই মামলার শুনানি রয়েছে। সেখানে কমিশন ও বোর্ডের তরফে জানানো হবে, তারা কী পদক্ষেপ করল।

SSC Group D: ১৯১১ জনের চাকরি বাতিল, ফেরত দিতে হবে বেতন, বসতে পারবে না সরকারি চাকরির পরীক্ষাতেও
নিয়োগের নির্দেশ বিচারপতির

Follow Us

কলকাতা: এসএসসি গ্রুপ ডি (SSC Group D) নিয়োগে ওএমআর শিট বিকৃতি মামলায় কড়া পদক্ষেপ কলকাতা হাইকোর্টের। ১৯১১ জন গ্রুপ ডি হিসেবে গন্য হবেন না। তাঁদের বেতনও বন্ধ হয়ে যাবে । এতদিন তাঁরা যে বেতন পেয়েছেন, সেটাও ফিরত দিতে হবে। ধাপে ধাপে সেই টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করবে। প্রয়োজনে তাঁদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। এই প্রার্থীরা দেশের কোনও সরকারি চাকরিতে বসতে পারবেন না বলেও জানানো হয়েছে। তিন সপ্তাহ পর ১৪ মার্চ ফের এই মামলার শুনানি রয়েছে। সেখানে কমিশন ও বোর্ডের তরফে জানানো হবে, তারা কী পদক্ষেপ করল।

এদিকে হাইকোর্টের নির্দেশ মতো ইতিমধ্য়েই স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে যে নিয়োগের সুপারিশপত্রগুলি বাতিল করা হয়েছে, তার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এদিন হাইকোর্টে কমিশনের তরফে হলফনামা দিয়ে জানানো হয়, ‘ওএমআর শিট পরীক্ষা করে সিবিআই এর সঙ্গে মিলে গিয়েছে ২৮১৮ টি ওএমআর শিট, যারা কারচুপি করেছিল বলে অভিযোগ। চার জনে শনাক্ত করা যায়নি। ২৮২৩ নাইসার রেকর্ডে ছিল। এদের মধ্যে ১৯১১ জনের নম্বর এসএসসির সার্ভারে বেশি ছিল। এই ১৯১১ জনের সুপারিশ সঠিক ছিল না।’

কমিশনের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায় বলেন, ‘আমার পর্যবেক্ষনে এই নিয়োগ সুপারিশ বেআইনি। যখন ফল প্রকাশিত হয়, তখন চেয়ারম্যান ছিলেন সুবীরেশ ভট্টাচার্য। কমিশনের ডাটা রুম সুবীরেশবাবুর হাতেই ছিল। ফলে আদালতের বিশ্বাস করার কারণ আছে, তাঁর নির্দেশেই হয়েছে।’

বিচারপতি আরও জানিয়েছেন, যেহেতু কমিশন নিজেই জানিয়েছে তাদের ভেরিফিকেশনে এই তথ্য এসেছে, তাই এদের সুপারিশ বাতিল করতে হবে। ১৯১১ জনের ভুল সুপারিশ হয়েছে। তাই কমিশনের সঙ্গে মধ্য শিক্ষা পর্ষদ আরেকটি নোটিস দিয়ে বাতিল করবে এদের চাকরি। যে শূন্যপদ তৈরি হবে সেখানে অপেক্ষমান তালিকা থেকে চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ দেওয়া হবে। তাঁর বক্তব্য, অপেক্ষমান তালিকায় যাঁরা আছেন, তাঁরা দীর্ঘদিন অপেক্ষা করছেন। তাঁরা এই ‘দুর্নীতির ভিক্টিম’। বিচারপতি বলেন, ‘২৪ ঘণ্টার বেশি অপেক্ষা করব না। এদের থেকে সুপারিশ করুন। যদি এদের ওএমআর বিকৃতি হয় পরে ফের বাতিল যাবে।’

Next Article