রাজ্যের সীমানা ছাড়িয়ে এবার কেন্দ্রীয় ক্যানভাসে আঁচড় ২১ জুলাইয়ের, বাঙালি প্রধানমন্ত্রী চেয়ে উঠবে স্লোগান

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Jul 18, 2021 | 4:56 PM

TMC 21 July: সচিত্র পরিচয় পত্রের দাবিকে সামনে রেখে ১৯৯৩ সালে ২১ জুলাই যে ঘটনা ঘটে তা পরবর্তী কালে এ রাজ্যে বাম শাসনকে উৎখাতের ক্ষেত্রে একটা শপথ গ্রহণের মঞ্চ হিসাবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছিল।

রাজ্যের সীমানা ছাড়িয়ে এবার কেন্দ্রীয় ক্যানভাসে আঁচড় ২১ জুলাইয়ের, বাঙালি প্রধানমন্ত্রী চেয়ে উঠবে স্লোগান
ফাইল চিত্র।

Follow Us

কলকাতা: ১৯৯৩ সালের পর থেকে ২০২১। মাঝের এতগুলো বছরে বারবার বদলেছে তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ের স্লোগান। বাম বিরোধিতার মঞ্চ ক্রমে হয়ে উঠেছে বিজেপি বিরোধিতার মঞ্চ। এবার ২১ জুলাইয়ের তাৎপর্য একেবারেই আলাদা। মোদী-শাহ জুটিকে রীতিমতো পর্যুদস্ত করে একুশের বিধানসভা ভোটে জয় ধরে রেখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃতীয় বারের জন্য সরকার গড়েছেন বঙ্গে। মোদী-শাহের অপ্রতিরোধ্য তকমা ভেঙে চুরমার করে দিয়ে এখন তিনি-ই ভারতীয় রাজনীতিতে মোদী বিরোধিতার প্রধান মুখ। জনপ্রিয়তার নিরিখেও অন্যান্য আঞ্চলিক দলের নেতার মাঝে শীর্ষস্থানে মমতা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই হ্যাশট্যাগ চালু হয়েছে, ‘NATION WANTS BENGALI PM’। বাংলায় যার তর্জমা করলে দাঁড়ায়, দেশ বাঙালি প্রধানমন্ত্রী চায়। জনপ্রিয়তার এই ঢেউকে কাজে লাগাতে মরিয়া তৃণমূল। তাই এই একুশেই হয়ত চব্বিশের জমি তৈরি করে রাখতে চায় তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যের সীমানা ছাড়িয়ে কেন্দ্রীয় ক্যানভাসে আঁচড় কাটতে চলেছে ২১ জুলাই।

প্রতি বছর ২১ জুলাই তৃণমূল শহিদ দিবস পালন করে। এই দিনটিকে সামনে রেখে বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে সুর চড়ান তৃণমূল সুপ্রিমো নিজে। করোনার কারণে গতবারের মতো এবারও ভার্চুয়ালি পালিত হবে ২১ জুলাই। তবে আয়োজনের আড়ম্বরে এবারের শহিদ দিবস অনেক বেশি গুরুভারের দাবিদার। যেহেতু ভার্চুয়ালি দিনটি পালিত হবে, তাই রাজ্যের বুথে বুথে থাকবে জায়ান্ট স্ক্রিনের ব্যবস্থা। এ রাজ্যের বাইরেও গুজরাট, তামিলনাড়ু, ত্রিপুরা, দিল্লিতে জায়ান্ট স্ক্রিনে দেখানো হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তৃতা। জায়ান্ট স্ক্রিন বসবে ত্রিপুরার ধর্মনগর, আমবাসা এবং আগরতলায়। গুজরাতের ৩২টি জেলায় শোনানো হবে মমতার ভাষণ। ব্যবস্থা থাকছে উত্তরপ্রদেশের একাধিক জেলাতেও। দিল্লির অফিসের বাইরেও বসছে জায়ান্ট স্ক্রিন। দ্রাবিড়ভূমে ‘মমতা আম্মা’র নামে দেওয়াল লিখনও সারা।

সচিত্র পরিচয় পত্রের দাবিকে সামনে রেখে ১৯৯৩ সালে ২১ জুলাই যে ঘটনা ঘটে তা পরবর্তী কালে এ রাজ্যে বাম শাসনকে উৎখাতের ক্ষেত্রে একটা শপথ গ্রহণের মঞ্চ হিসাবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছিল। ২০০৮ সালে ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে রেকর্ড ভিড় হয়েছিল। সে বছর জমি আন্দোলনকে ‘জমি’ করেই বাম বিরোধী মঞ্চকে পোক্ত করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী। এরপর ‘পরিবর্তন চাই’-এর স্লোগানও উঠেছিল একুশের মঞ্চ থেকেই। ২০১৪ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম দিল্লি চলোর ডাক দিয়েছিলেন, ২০১৯ সালে নরেন্দ্র মোদীকে উৎখাতের ডাক দিয়েছিলেন। একুশের বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের ‘ল্যান্ডস্লাইড ভিক্ট্রি’র পর এবার লক্ষ্য দিল্লি, ২০২৪। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এবারের ২১ জুলাই থেকেই সেই লক্ষ্যে ছুটবে তৃণমূলের রথ। আরও পড়ুন: ‘কেন্দ্র যে কোনও আলোচনার জন্য তৈরি…’, সর্বদলীয় বৈঠকে আশ্বাস মোদীর

 

Next Article