কলকাতা : কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের সিবি টপ বিল্ডিংয়ের সার্জারি বিভাগ থেকে ৪ টি ‘ফ্যাক্টর ৮’ ইঞ্জেকশন খোয়া গিয়েছে। ঘটনায় ১২ এপ্রিল বউবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। টসিলিজুমাব কাণ্ডের পর ফের ইঞ্জেকশন খোয়া যাওয়ার ঘটনা কলকাতা মেডিক্যালে। ইঞ্জেকশন খোয়া যাওয়ার বিষয়টি প্রথম নজরে আসে হাসপাতালের সিস্টার ইনচার্জের। তারপর তিনিই গোটা বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানান। অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করে দিয়েছে বউবাজার থানার পুলিশ। তবে এখনও পর্যন্ত ওই ইঞ্জেকশনগুলি খুঁজে পাওয়া গিয়েছে কি না, তা স্পষ্ট নয়। মেডিকেল কলেজের এসএসভিপির বক্তব্য, তাঁকে এখনও কেউ জানাননি এগুলি পাওয়া গিয়েছে কি না। যদিও মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ জানিয়েছেন চারটি ভায়ালই পাওয়া গিয়েছে। এই ‘ফ্যাক্টর ৮’ ইঞ্জেকশন হিমোফিলিয়া রোগীদের দেওয়া হয়ে থাকে।
এই বিষয়ে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের এমএসভিপি সব্যসাচী দাস জানিয়েছেন, “পুলিশের কাছে জানানো হয়েছে ৪ টি ভায়াল পাওয়া যাচ্ছে না।১২ তারিখ এই নিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে। সিস্টার ইনচার্জের নজরে বিষয়টি আসার পরেই তিনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে খোয়া যাওয়ার বিষয়টি জানান।” উল্লেখ্য এর আগেও টসিলিজুমাব ইঞ্জেকশন কাণ্ড গোটা রাজ্যে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। সেই সময় গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছিল স্বাস্থ্য দফতর। বেশ কয়েকজনকে বদলিও করে দেওয়া হয়েছিল। সেই ঘটনার কথা এখনও শহরবাসীর মন থেকে আবছা হয়ে যায়নি। তারই মধ্যে এবার ফের ‘ফ্যাক্টর ৮’ ইঞ্জেকশন খোয়া গেল কলকাতা মেডিকেল থেকে।
ঘটনায় অভিযোগ উঠছে হাসপাতালের এক চুক্তিভিত্তিক কর্মীর বিরুদ্ধে। এই ‘ফ্যাক্টর ৮’ -এর ভায়াল দুই ধরনের হয়। ২৫০ ইউনিটের ভায়াল। ১০০০ ইউনিটের ভায়াল। ২৫০ ইউনিট হলে এক একটি ভায়ালের দাম তিন হাজার টাকা। আর যদি ১০০০ ইউনিটের ভায়াল হয়, তাহলে প্রতি ভায়ালের দাম ১১ হাজার টাকা। এ ক্ষেত্রে কলকাতা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ রঘুনাথ মিশ্র অবশ্য জানিয়েছেন, ওই ভায়ালগুলি ২৫০ ইউনিটের ছিল।
আরও পড়ুন : Adhir Chowdhury: ‘বিজনেস সামিটের নামে বেকারদের প্রতারিত করছেন মুখ্যমন্ত্রী’, তোপ অধীরের
আরও পড়ুন : ED vs Kolkata Police: কোর্ট অর্ডারের নথিতে ‘কারচুপি’, কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ ইডির