SSC Recruitment Case: প্রশ্নের মুখে পড়তে পারেন কল্যাণময়, সকালেই ডিরোজিও ভবনে পৌঁছল সিবিআই
SSC Recruitment Case: এসএসসি-র নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম সামনে এসেছে। নিয়োগের ক্ষেত্রে তাঁর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
কলকাতা : কেউ পরীক্ষায় পাশ না করেও চাকরি পেয়েছেন, আবার কেউ পরীক্ষা না দিয়েও চাকরি পেয়েছেন। এমনই সব ভয়ঙ্কর অভিযোগ উঠেছে স্কুল সার্ভিস কমিশনের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে আদালতের নির্দেশে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে অনেককে। আর অন্যদিকে নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় পুরোদমে তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। বৃহস্পতিবার সেই মামলার তদন্তে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অফিসে পৌঁছল সিবিআই-এর তদন্তকারী দল। পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্য়ায়কে এ দিন জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
এ দিন সকালে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের দফতরে তথা সল্টলেকের ডিরোজিও ভবনে যান ৬ প্রতিনিধির সিবিআই দল। সূত্রের খবর, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই সেখান গিয়েছেন তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। সকাল ৯ টা ১৫ মিনিট নাগাদ সিবিআই-এর ওই দল ডিরোজিও ভবনে প্রবেশ করে, কিন্তু, সেই সময় কল্যাণময় না থাকায় পর্ষদের অ্যাডমিন পারমিতা রায়কে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে সিবিআই। সূত্রের খবর কল্যাণময়কে দ্রুত ডিরোজিও ভবনে আসতে বলেছে সিবিআই।
উল্লেখ্য, এসএসসি-র গ্রুপ সি নিয়োগের ক্ষেত্রে সিবিআই যে এফআইআর দায়ের করেছে, তাতে নাম রয়েছে কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের। তৎকালীন উপদেষ্টা কমিটিতে থাকা শান্তি প্রসাদ সিনহা, সমরজিৎ আচার্য, সৌমিত্র সরকার ও অশোক সাহার সঙ্গে রয়েছে কল্যাণময়ের নাম। নিয়ম হল, শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে সুপারিশ করে স্কুল সার্ভিস কমিশন। আর সেই সুপারিশ অনুযায়ী নিয়োগ করে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। ফলে নিয়োগে বেনিয়মের ক্ষেত্রে পর্ষদের সরাসরি যোগ রয়েছে বলেই অভিযোগ।
সেই সূত্রেই এবার কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় সিবিআই। ডিরোজিও ভবনে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার পাশাপাশি আধিকারিকরা পর্ষদের নথিও খতিয়ে দেখবে বলে সূত্রের খবর। ইতিমধ্যেই এসএসসি মামলায় তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়কে দুবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীকেও। এর আগে হাইকোর্টের নির্দেশে এসএসসি-র অফিস আচার্য সদনেও তল্লাি চালিয়েছে সিবিআই। ১০ টি হার্ড ডিস্ক উদ্ধার করেছিলেন আধিকারিকরা। এবার ডিরোজিও ভবন থেকে কোনও সূত্রে বেরিয়ে আসে কি না, সেটাই দেখার।