Firecrackers Mishap: কলকাতায় তৃণমূলের আতসবাজির প্রদর্শনীতে অঘটন, মুখ ঝলসে গেল কিশোরের

TV9 Bangla Digital | Edited By: Soumya Saha

Jan 02, 2023 | 11:50 PM

Kolkata: প্রদর্শনী দেখতে গিয়ে কিশোরের মুখ ঝলসে যায়। আহত ওই শিশুর নাম বিশ্বজিৎ বিশ্বাস। বাড়ি ঠাকুরপুকুরের সবুজ পার্ক এলাকায়।

Firecrackers Mishap: কলকাতায় তৃণমূলের আতসবাজির প্রদর্শনীতে অঘটন, মুখ ঝলসে গেল কিশোরের
হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ওই বালককে

Follow Us

কলকাতা: আতসবাজির প্রদর্শনীতে (Fire Crackers) অঘটন। প্রদর্শনী দেখতে গিয়ে মুখ ঝলসে গেল ১৩ বছরের এক কিশোরের। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে কলকাতা পুরনিগমের ১২৫ নম্বর ওয়ার্ডে। সেখানে তৃণমূলের তরফে এদিন একটি আতসবাজি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই প্রদর্শনী দেখতে গিয়ে কিশোরের মুখ ঝলসে যায়। আহত ওই শিশুর নাম বিশ্বজিৎ বিশ্বাস। বাড়ি ঠাকুরপুকুরের সবুজ পার্ক এলাকায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই কিশোরের চোখে আঘাত লেগেছে বলে জানা গিয়েছে। প্রাথমিকভাবে সেখানেই চিকিৎসা হয় ওই কিশোরের। পরে তাকে মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়।

এদিন আতসবাজির প্রদর্শনীটির আয়োজন করা হয়েছিল ঠাকুরপুকুর কাঠগোলার মাঠে। স্থানীয় সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, প্রদর্শনী চলাকালীন ওই বালক হঠাৎ মাঠের ভিতর ঢুকে যায় এবং বাজির সামনে পৌঁছে যায়। আর তাতেই অঘটনটি ঘটে। স্বপন হালদার নামে এলাকার এক ব্যক্তি জানান, “বাজি প্রদর্শনীর এলাকাটি দড়ি দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছিল। মাইকেও বলা হচ্ছিল, যাতে কেউ কাছে না যান। সেই সময় যদি কেউ চলে যায়, তার মধ্যেই হয়ত কোনও একটি বাজি ফেটেছে, এতে তো ব্যক্তিগত কারও দোষ নয়।” ওই ব্যক্তি আরও জানান, “১ জানুয়ারি দলের প্রতিষ্ঠা দিবস। সেখানে দুই দিন খেলা হয়। তারপর একটি বাজি প্রদর্শনী হয়। দড়ি দিয়ে ঘিরে রাখা হয়।”

যদিও এই দুর্ঘটনার বিষয়টি নিয়ে পুরনিগমের ১২৫ নম্বরের ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছন্দা সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “আমরা সমানে মাইকিং করে যাচ্ছিলাম দর্শকদের সরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করে। আমরা দড়ি দিয়ে ব্যারিকেড করে দিয়েছিলাম। প্রোটেকশন নিয়েই করা হয়েছিল। কিন্তু হয়ত কোনওভাবে অঘটনটি ঘটেছে। আমার কানে খবর আসার সঙ্গে সঙ্গে আমি হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেছি। আমি আছি ওদের পাশে।” তবে কাউন্সিলরের বক্তব্য, বাজি প্রদর্শনীর মূল অনুষ্ঠান শেষ হয়ে যাওয়ার পর এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। বাজি প্রদর্শনীর শেষে তিনি সেখান থেকে চলে এসেছিলেন। ওই বালক বর্তমানে সুস্থ রয়েছে বলেও জানান তিনি। এদিকে ওই বালকের পরিবারের কারও ইএসআই কার্ড নেই জানতে পেরে তিনিই মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বলে জানান।