Israel Iran War: প্রতি মুহূর্তে আছড়ে পড়ছে বোমা! প্রাণ হাতে নিয়ে ইরানে বসে ‘বাড়ি ফেরার’ জন্য দিন গুনছেন কলকাতার অধ্যাপক

Israel Iran War: এই এক্সপিডিশনকে কেন্দ্র করে শুধুমাত্র জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ইরানে হাজির হয়েছিল ৪ হাজার পড়ুয়া। এছাড়াও অন্যান্য ক্যাটাগরির পড়ুয়া-শিক্ষক মিলিয়ে বর্তমানে ইরানে আটকা পড়েছে প্রায় দশ হাজার জন। যাদের মধ্যে ফাল্গুনিও রয়েছেন। তাকিয়ে রয়েছেন প্রত্যাশার চোখে।

Israel Iran War: প্রতি মুহূর্তে আছড়ে পড়ছে বোমা! প্রাণ হাতে নিয়ে ইরানে বসে বাড়ি ফেরার জন্য দিন গুনছেন কলকাতার অধ্যাপক
অধ্যাপক ফাল্গুনি দেImage Credit source: নিজস্ব চিত্র | PTI

| Edited By: Avra Chattopadhyay

Jun 16, 2025 | 3:49 PM

কলকাতা: তিনি কলকাতা থেকে গিয়েছিলেন ইরানে। পেশায় অধ্যাপক। একটি এক্সপিডিশনের কাজে গত ৫ তারিখ কলকাতা থেকে রওনা দিয়েছিলেন। নাম ফাল্গুনি দে। কথা ছিল কয়েক দিনের মধ্যে আবার দেশে ফেরার। কিন্তু এখন সেই দেশে ফেরাটাই হয়ে উঠেছে তার কাছে সবচেয়ে বেশি অনিশ্চয়তার প্রসঙ্গ।

কারণ সময়ের সঙ্গে পারদ চড়ছে ইজরায়েল-ইরান যুদ্ধের। দফায় দফায় বাড়ছে উত্তেজনা। যখন তখন আকাশ চিরে মাটিতে আছড়ে পড়ছে ইজরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র। ফাল্গুনি জানিয়েছেন, বর্তমানে মধ্য তেহরানের তালেঘানি এলাকার মাসাদ হোটেলে রয়েছেন তিনি। প্রতি মুহূর্তে ঘরে ফেরার চেষ্টা করছেন কিন্তু দিনশেষে হাতে আসছে ব্যর্থতা।

তাঁর সংযোজন, ‘এক্সপিডিশন শেষের দু’দিনের মধ্যে ইরান ছাড়ব ভেবেছিলাম। কিন্তু তা এখনও সম্ভব হয়নি। এদিকে ফুরিয়ে আসছে টাকাও। প্রথমে এসে মোট ৪০ ডলার বা সাড়ে তিন হাজার টাকা প্রতিদিনের ভাড়ার একটি হোটেলে উঠে পড়ি। কিন্তু তা বেশিদিন টানা সম্ভব হচ্ছে না। কারণ, না এজেন্সি টাকা পাঠাচ্ছে, না দূতাবাস। যুদ্ধকালে খরচ তুলতে হিমশিম অবস্থা। এমনকি, নিজের বাড়িতে টাকা আনাব, সেই সুযোগও নেই। কারণ সব ব্যাঙ্ক বন্ধ।’

দূতাবাস থেকে সঠিকভাবে কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি বলে দাবি করেছেন ওই অধ্যাপক। তাঁর কথায়, ‘ভারতীয় দূতাবাস ঠিক মতো কিছু বলতে পারছে না। তারা নিজেও জানে না কবে বিমান চলাচল শুরু হবে, তারা বিগত চার দিন ধরে আমাকে বলে যাচ্ছে যে, আপনারা সবাই শান্ত থাকুন হোটেলের বাইরে বেরোবেন না সাবধানে থাকুন। ওরা কাকে ছেড়ে, কাকে দেখবে এই রকম পরিস্থিতি।’

শুধুমাত্র জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ইরানে পড়তে এসেছিলেন ৪ হাজার পড়ুয়া। এছাড়াও অন্যান্য ক্যাটাগরির পড়ুয়া-শিক্ষক মিলিয়ে বর্তমানে ইরানে আটকা পড়েছে প্রায় দশ হাজার জন। যাদের মধ্যে ফাল্গুনিও রয়েছেন। তাকিয়ে রয়েছেন প্রত্যাশার চোখে। এমনকি, পরিস্থিতি যে কঠিন, তা স্বীকার করেছেন এই অধ্যাপক। তাঁর কথায়, ‘এমন যুদ্ধের কখনও সাক্ষী থাকিনি। বাড়ি যেতে পারলে বাঁচি। প্রতিমুহূর্তে ক্ষেপণাস্ত্র পড়ছে।’