কলকাতা: সামান্য সর্দি-কাশির পরিণতি কি এরকমটা হতে পারে? এখনও মানতেই পারছেন বাবা-মা। খুদেটার একটু শরীরটাই খারাপ হয়েছিল। তাই শনিবার বছর দেড়েকের শিশুকে নিয়ে বিসি রায় হাসপাতালে দ্বারস্থ হন বারুইপুরের মল্লিকপুরের এক বাসিন্দা।
সাধারণভাবেই, শিশুকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কিছু ওষুধ লিখেই ছেড়ে দেয় ডাক্তার। মনে আশ্বাস নিয়ে বাড়ি ফেরে পরিবার। কিন্তু দিন বদল হতেই লাগল ফাঁড়া।
কাজ করেনি ওষুধ, উল্টে শরীর আরও খারাপ করে তার। তাই রবিবার আবারও সেই শিশুটিকে নিয়ে বিসি রায় হাসপাতালে ছুটে যায় পরিবার। সঙ্গে সঙ্গে জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয় খুদেকে। চালানো হয় অক্সিজেন, দেওয়া হয় ইঞ্জেকশন। আর তারপরেই বিপত্তি। ক্ষণিক পরেই বাড়ির লোককে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। তাতেই কার্যত এক রাশ মেঘ জমে মৃত শিশুর পরিবার-পরিজনের মাথায়।
মিনিট খানেকের মধ্যে সেই মেঘই যেন গর্জে ওঠে। উত্তাল হয় পরিস্থিতি। হাসপাতালের সামনেই বিক্ষোভে বসে পরিবার। বছর দেড়েকের শিশুর এমন অকস্মাৎ মৃত্যুতে চাঞ্চল্য ছড়ায় হাসপাতাল চত্বরেও। চিকিৎসককে কাঠগড়ায় দাঁড় করায় পরিবার। জানা গিয়েছে, ওই একই দিনে বিসি রায় হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে আরও তিন জন শিশুর।
কিন্তু ঠিক কী কারণে মৃত্যু হয়েছে তার, তা এখনও ঠাওর করা যায়নি। মৃতের মায়ের দাবি, ‘আমার সন্তান একদম ঠিক ছিল, সর্দি-কাশি ছাড়া ওর শরীরে কোনও রকম অসুস্থতা ছিল না। এরা ওষুধ দিয়েই অসুস্থতা বাড়িয়ে দিয়েছে। ইঞ্জেকশন দেওয়ার ২০ মিনিট পরে আমাদের ডেকেছিল। গিয়ে দেখি বাচ্চা ছটফট করছে, কিছুক্ষণেই ওর গোটা শরীর ঠান্ডা হয়ে গেল।’
পাশাপাশি, তাদের আরও দাবি, ‘গোটা শরীরে খালি সুঁচ (পড়ুন ইঞ্জেকশন) ফোটাচ্ছিল। কিছু পরীক্ষানিরিক্ষা করা হয়েছিল। সেগুলোর রিপোর্ট রাতে আসার কথা ছিল। কিন্তু সেটা আসার আগেই এরা বারবার ইঞ্জেকশন ফুটিয়েছে।’