
কলকাতা: কলকাতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মহিলা যাত্রীকে হেনস্থা, বিমান থেকে নামিয়ে দেওয়ার অভিযোগ। একটি বেসরকারি উড়ান সংস্থার কর্মীদের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন ওই যাত্রী। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ, ডিজিসিএ ও বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিআইএসএফের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। সরব হয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়ও। তবে এই নিয়ে ওই উড়ান সংস্থার কলকাতার কর্মীরা মুখ খুলতে চাননি।
গত ২৩ নভেম্বর সন্ধে সাড়ে সাতটায় গুয়াহাটি থেকে দিল্লি যাওয়ার টিকিট কেটেছিলেন দিল্লির বাসিন্দা অমৃতা সিং। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে ফ্লাইট না পাওয়ায় তিনি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে গুয়াহাটি থেকে কলকাতা হয়ে দিল্লি যাওয়ার বিমানে ওঠেন। ওই বেসরকারি বিমানে দুটি লাগেজ নিয়ে কলকাতায় এসে পৌঁছান। গুয়াহাটি থেকে ব্যাগ দুটিকে ক্যারি অন ট্যাগ ব্যবহার করা হয়েছিল।
কলকাতা বিমানবন্দর থেকে দিল্লি যাওয়ার জন্য বোর্ডিং গেট ১০৬ নম্বর লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন অমৃতা। সেই সময় ওই বেসরকারি উড়ান সংস্থার কর্মী যাত্রীদের ব্যাগ ওজন করে দেখছিলেন। ব্যাগ ওজনের পর অমৃতাকে জানানো হয়, নির্দিষ্ট ওজনের চেয়ে তাঁর ব্যাগ ভারী। যার জন্য দেড় হাজার টাকা অতিরিক্ত দিতে হবে। না হলে বিমানে উঠতে দেওয়া হবে না।
তখন ওই মহিলা যাত্রী জানান, সংশ্লিষ্ট উড়ান বিমানে করে গুয়াহাটি থেকে কলকাতা এসেছেন। সেখানে বিমানের ক্যারি অন ট্যাগ ব্যবহার করা হয়েছে। গুয়াহাটিতে ব্যাগের ওজন ৭ কিলো ৪০০ গ্রাম হলে কলকাতা বিমানবন্দরে কীভাবে তা সাড়ে ৯ কিলো ওজন হল? যা নিয়ে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। ওই যাত্রী কলকাতায় বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিযুক্ত সিআইএসএফের সঙ্গে কথা বলেন। কলকাতা এয়ারপোর্ট অথরিটির সঙ্গে কথা বলেন। দেখা যায়, ব্যাগের ওজন ৭ কিলো ৪০০ গ্রাম। কিন্তু ওই উড়ান সংস্থার ওজন যন্ত্রে সাড়ে ৯ কিলো দেখাচ্ছে। সেই কারণে ওই মহিলা যাত্রীকে না নিয়েই বিমানটি দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেয়।
দিল্লির বাসিন্দা অমৃতা সিং কলকাতা বিমানবন্দরে রাত্রিযাপন করে পরদিন অন্য বিমানে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেন। দ্বিতীয় এই বিমানে চেকিংয়ের সময় তাঁর ব্যাগের ওজন দেখা যায় ৭ কিলো ৪০০ গ্রাম। ওই যাত্রীর প্রশ্ন, একই উড়ান সংস্থার ওজন যন্ত্রে গুয়াহাটিতে এক ওজন এবং কলকাতা বিমানবন্দরে অন্য ওজন কীভাবে হল? তিনি মানসিক যন্ত্রণার শিকার হয়েছেন বলে সরব হন। ওই উড়ান সংস্থার কলকাতার কর্মীরা বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে চাননি। তাঁদের বক্তব্য, সব অভিযোগের জবাব হেড কোয়ার্টার থেকে দেওয়া হবে। তবে এখনও পর্যন্ত ওই বেসরকারি উড়ান সংস্থার তরফে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি।