West Bengal State Song: পশ্চিমবঙ্গ দিবসের পাশাপাশি বাংলার জন্য ‘রাজ্য সঙ্গীতের’ ভাবনা, বিধানসভায় আসবে প্রস্তাব
West Bengal Assembly: এবার পশ্চিমবঙ্গের জন্য একটি 'রাজ্য সঙ্গীত' নির্দিষ্ট করার জন্যও প্রস্তাব আসতে চলেছে রাজ্য বিধানসভায়। যে গানের সঙ্গে বাংলার আমজনতার আত্মিক সম্পর্ক রয়েছে, এমন কোনও গানকে 'রাজ্য সঙ্গীত' করার ভাবনা-চিন্তা চলছে।
কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গ দিবস হিসেবে পয়লা বৈশাখ দিনটিকে পালন করার জন্য ইতিমধ্যেই প্রস্তাব দিয়েছে বিধানসভার স্পিকার নিযুক্ত কমিটি। সেই নিয়ে আগামী দিনে বিধানসভায় বিল আনা হবে। আর এসবের মধ্যেই এবার পশ্চিমবঙ্গের জন্য একটি ‘রাজ্য সঙ্গীত’ নির্দিষ্ট করার জন্যও প্রস্তাব আসতে চলেছে রাজ্য বিধানসভায়। যে গানের সঙ্গে বাংলার আমজনতার আত্মিক সম্পর্ক রয়েছে, এমন কোনও গানকে ‘রাজ্য সঙ্গীত’ করার ভাবনা-চিন্তা চলছে। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু গান নিয়ে আলোচনা হয়েছে এবং সেগুলি নিয়ে একটি তালিকা বানানো হচ্ছে বলেও জানা যাচ্ছে।
ভারতের জাতীয় সঙ্গীত রয়েছে জন-গণ-মন। জাতীয় সঙ্গীতের মতোই এবার রাজ্য সঙ্গীতের ভাবনা চলছে বলে জানা যাচ্ছে। মূলত স্থানীয় মানুষজনের সঙ্গে আত্মিক টান রয়েছে, যাঁর সঙ্গে রাজ্যবাসী একাত্ম হতে পারেন, এমন কোনও সঙ্গীতকে রাজ্য সঙ্গীত হিসেবে গ্রহণ করা হয়ে থাকে। এবার পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রেও তেমন ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন রাজ্যের এমন রাজ্য সঙ্গীতের নিদর্শন রয়েছে। প্রতিবেশী অসম, বিহার, ওড়িশাও নিজস্ব রাজ্য সঙ্গীত রয়েছে। যেমন ২০২০ সালে ওড়িশার রাজ্য সঙ্গীত হিসেবে গৃহীত হয়েছে ‘বন্দে উৎকল জননী’। আবার ২০১২ সালে বিহারের রাজ্য সঙ্গীত হিসেবে ‘মেরে ভারত কে কণ্ঠহার’-কে গ্রহণ করা হয়েছে। আবার অসমের রাজ্য সঙ্গীত রয়েছে ‘ও মুর আপুনার দেশ’।
এছাড়া ছত্তীসগঢ়, গুজরাট, কর্নাটক, মধ্য প্রদেশ, মহারাষ্ট্র, মণিপুর, তামিলনাড়ু, পুদুচেরি, উত্তরাখণ্ডের মতো রাজ্যগুলিরও নিজস্ব রাজ্য সঙ্গীত রয়েছে। ঠিক সেইরকম বাংলার জন্যও এবার একটি ‘রাজ্য সঙ্গীত’ নিয়ে আসার চিন্তাভাবনা চলছে। বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানাচ্ছেন, ‘বিভিন্ন রাজ্যের জন্য রাজ্য সঙ্গীত রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে কোনও রাজ্যের সঙ্গীত নেই। একটি জাতীয় সঙ্গীত গোটা ভারতের জন্য প্রযোজ্য। কিন্তু অন্যান্য রাজ্যে তাঁদের নিজস্ব সঙ্গীত রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের জন্য যদি একটি নির্দিষ্ট সঙ্গীত হয়, সেটা মনে হয় ভালই হবে।’