কলকাতা: দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। মাঝেমধ্যেই বাড়িতে আসতেন মেয়ের প্রেমিক। বাড়ির লোক মেয়ের সম্পর্ক মেনে নিয়েছিলেন, তাই ঘন ঘন সেই যুবকের বাড়িতে আসাতে আপত্তি ছিল না পরিবারের সদস্যদের। রবিবার দুপুরেও তিনি এসেছিলেন। সারা দুপুরে ফাঁকা ঘরেই প্রেমিকের সঙ্গে ছিলেন বছর ছাব্বিশের তরুণী। কিন্তু তারপরই বিকালে ঘরের দরজা খুলে বাড়ির মেয়েকে বিছানায় পড়ে থাকতে দেখেন পরিবারের সদস্যরা। শরীরে সার ছিল না তাঁর। যতক্ষণে তাঁরা তাঁকে উদ্ধার করে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গিয়েছেন, ততক্ষণে মৃত্যু হয়েছে তরুণীর। গড়ফায় এক তরুণীর অস্বাভাবিক মৃত্যুতে তাঁরই প্রেমিকের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলল পরিবার। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে প্রেমিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মৃত তরুণীর নাম সুস্মিতা দাস (২৬)।
গড়ফার বিবেকনগরের বাসিন্দা সুস্মিতার সঙ্গে দীর্ঘদিনের প্রেম ছিল হাবড়ার বাসিন্দা পঙ্কজ দাসের। দুই বাড়ির তরফে সেই সম্পর্ক মেনে নেওয়া হয়েছিল। বিয়েও ঠিক হয়ে গিয়েছিল দুজনের। সুস্মিতার বাড়ির লোকের বয়ান অনুযায়ী, পঙ্কজের যাতায়াত ছিল তাঁদের বাড়িতে। মাঝেমধ্যেই ছুটির দিনে তিনি চলে আসতেন বাড়িতে।
সুস্মিতার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার দুপুরে সুস্মিতার গড়ফার বাড়িতে এসেছিলেন পঙ্কজ। আনুমানিক বিকেল চারটে নাগাদ ঘর থেকে বেরিয়ে যান তিনি। পরিবারের লোকেদের তখনও বিশেষ কিছু সন্দেহ হয়নি। তার কিছুক্ষণ পর সুস্মিতাকে ডাকতে যান তাঁরা। তখনই তাঁরা সুস্মিতাকে অচৈতন্য অবস্থায় বিছানায় পড়ে থাকতে দেখেন, এমনই দাবি পরিবারের লোকজনের। তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে, চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
সুস্মিতা দাসের মৃত্যুতে প্রেমিক পঙ্কজ দাসের বিরুদ্ধে গড়ফা থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করে পরিবার। রাতেই গ্রেফতার করা হয় পঙ্কজকে। তবে কীভাবে মৃত্যু, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসার পরই মৃত্য়ুর কারণ স্পষ্ট হবে।
পরিবার সূত্রে জানা যাচ্ছে, বিয়ে ঠিক হয়ে গেলেও সম্পর্কে একটি জটিলতা তৈরি হয়েছিল। সুস্মিতার গড়ফার বাড়িতে যাতায়াত শুরু করেছিলেন তাঁরই পুরনো এক বন্ধু। তাতে আপত্তি ছিল পঙ্কজের। তা নিয়েই কোনও ঝামেলার পরিণতি এই ঘটনা কিনা, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।