
কলকাতা: যোগ্য অযোগ্যদের তালিকা কেন প্রকাশ নয়? মঙ্গলবারই চাকরিহারাদের নিয়ে এসএসসি অফিসে যাচ্ছেন বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এদিন প্রাক্তন বিচারপতির কাছে পরামর্শ নিতে যান চাকরিহারারা। অভিজিৎ তাঁদের সঙ্গে কথা বলার পর সাংবাদিক বৈঠক করেন। তিনি বলেন, “সিদ্ধার্থ মজুমদারের হাত পা বেঁধে রাখা হয়েছে। রাজনৈতিক কারণেই যোগ্য-অযোগ্যদের তালিকা দেওয়া হচ্ছে না।”
অভিজিৎ বলেন, “ওনারা যখন বলছেন, আমরা ওএমআর-এর হার্ড কপি পুড়িয়ে ফেলেছি। আমার খুব সন্দেহ আছে, পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে কিনা। তখন তো আর কোনও উপায় নেই আসল নকল বার করার। আগে তো আমাকে রেজাল্টটা দেখতে হবে। সেখান থেকে বার করতে হবে। একটা কম্পিউটরাইজড মেথড তো রয়েছে, যেখান থেকে ম্যাচ করালে বোঝা যাবে, কতজন পাশ করেছেন, কতজন ফেল করেছেন।”
সুুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চাকরিহারাদের কাছে, এখনও এটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ নির্দেশে যোগ্য প্রমাণ করা। আর চাকরিহারাদের বক্তব্য সেটা করবে এসএসসি। এদিকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই দায় ঠেলেছেন সুপ্রিম কোর্টের ঘাড়ে। প্রাক্তন বিচারপতি বললেন, এই তালিকা বার করা সম্ভব এসএসসি-র তরফেই। কীভাবে, সেই পথও বাতলে দিলেন তিনি।
সমস্ত তথ্য জোগাড় করার বার্তা দিলেন অভিজিত। একটা টিম তৈরি করার পরামর্শ প্রাক্তন বিচারপতির। তাঁর কথায়, “এই যোগ্য অযোগ্যের লিস্ট বার করে দেওয়া সম্ভব। কীভাবে? সিবিআই যে মাদার ডিস্ক উদ্ধার করেছে, হরিয়ানা থেকে, সেটা সিবিআই ট্যালি করে দেখেছে। মিস্টার এক্সের কাছে যেটা ছিল, সেটার সঙ্গে মিস্টার এক্সের সাব কনডাক্টরের কাছে যেটা ছিল, সেটা একই জিনিস। স্কুল সার্ভিস কমিশন ধরে নিক, সেটাই সঠিক তালিকা। সেটাই ওএমআর। সেখান থেকে ছানবিন করে যোগ্য অযোগ্য আলাদা করা যেতে পারে। এরপর একটা রিভিউ অ্যাপ্লিকেশন সুুপ্রিম কোর্টের কাছে করা যাক, এরা অযোগ্য, সেটা দেখিয়ে দেওয়া হোক। সরকার যদি এটা না করে, তাহলে আর কী বলার! সরকারকে চাপ দিতে হবে।”