কলকাতা : নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতের বিশেষ নজরে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্য (Subiresh Bhattacharya)। গ্রেফতার হওয়ার পর তিনি তদন্ত কতটা সহযোগিতা করছেন, তা সিবিআই-এর কাছে জানতে চেয়েছিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার সিবিআই আদালতে এসে জানিয়েছে, সুবীরেশ তদন্তে সহযোগিতা করছেন না। তিনি বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছেন, আর সেখানেই গিয়েই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন কেন্দ্রীয় সংস্থার আইনজীবীরা।
তদন্তে সহযোগিতা করছেন না বলেই সম্প্রতি সুবীরেশের জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছে বলেও উল্লেখ করেছে সিবিআই। অন্য কোনও মামলায় তিনি যুক্ত আছেন কি না, তার খোঁজও চালাচ্ছে সিবিআই।
একথা শুনে বিচারপতি বলেন, ‘তিনি যদি সহযোগিতা না করেন তাহলে তাঁকে হেফাজতে চেয়ে আবেদন করুন।’ বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ‘আপনারা কোন পরিস্থিতিতে কোনও অভিযুক্ত ব্যক্তিকে দিল্লি, অসম বা ভুবনেশ্বরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যেতে পারেন?’ উদাহরণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে রাজীব কুমারকে শিলং নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল।
বিচারপতির প্রশ্নে সিবিআই জানিয়েছে, কখন কাউকে বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়, সেটা বিভিন্ন পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে। সুবীরেশকে ভট্টাচার্যকে হেফাজতে না নিলে তথ্য জানা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। জেলে কতক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করা যেতে পারে সেই প্রশ্নও তোলেন বিচারপতি।
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য, ‘আপনারা সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানান। তারপর আমি তাঁকে অন্য কোথাও নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেব। একই ধরনের নির্দেশ দিতে হবে মানিক ভট্টাচার্যের ক্ষেত্রেও।’ আদালতে সিবিআই জানায়, মানিক ভট্টাচার্য সুপ্রিম কোর্ট থেকে সিবিআই তদন্তের ক্ষেত্র রক্ষাকবচ পেয়েছেন। সে ক্ষেত্রে বিচারপতি বলেন, ‘রক্ষাকবচ খারিজের আবেদন করুন।’
এদিন সিবিআই আরও জানিয়েছে, গ্রুপ ডি মামলায় চাকরি বাতিল হওয়া ৫৪২ জনের মধ্যে ৩৩০ জনের জিজ্ঞাসাবাদ সম্পূর্ণ হয়েছে। নবম-দশমের নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় এদিন সুবীরেশকে নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। এদিনই তিনি মন্তব্য করেছেন, ‘এই তদন্তে অন্য ইঁদুরের নাম আসবে, ধেড়ে ইঁদুর।’