Abhishek Banerjee: ‘ভোট চুরি’ বিতর্কে রাহুলের পাশে দাঁড়িয়ে ঝোড়ো ব্যাটিং অভিষেকের

Abhishek Banerjee: এসআইআর নিয়ে দেশ জুড়ে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এই বিতর্কের আবহে কংগ্রেস সাংসদ ‘ভোট চুরি’র অভিযোগ তুলেছেন। আর এই অভিযোগের ভিত্তিতেই এফিট ডেফিট জমা দেওয়ার কথা বলেছেন CEO। আর রাহুলের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে অভিষেক তাঁর বিরুদ্ধে হওয়ায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্ত নিয়েও মুখ খোলেন।

Abhishek Banerjee: ভোট চুরি বিতর্কে রাহুলের পাশে দাঁড়িয়ে ঝোড়ো ব্যাটিং অভিষেকের
রাহুলের পাশে অভিষেকImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Aug 18, 2025 | 5:47 PM

কলকাতা: ‘ভোট চুরি’ বিতর্কে  নাম না-করে লোকসভার বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকে নিশানা করে নির্বাচন কমিশন। রবিবার দিল্লি থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার , দাবির সপক্ষে এক সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। অন্যথায় তাঁকে ক্ষমা চাইতে হবে বলেও সতর্ক করেন। এই পরিস্থিতি রাহুল গান্ধীর পাশে দাঁড়িয়ে কলকাতা বিমানবন্দর থেকে ঝোড়ো ব্যাটিং চালাতেন তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

এসআইআর নিয়ে দেশ জুড়ে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এই বিতর্কের আবহে কংগ্রেস সাংসদ ‘ভোট চুরি’র অভিযোগ তুলেছেন। আর এই অভিযোগের ভিত্তিতেই এফিট ডেফিট জমা দেওয়ার কথা বলেছেন CEO। কিন্তু এবার ইন্ডিয়া অ্যালায়েন্সের শরিকের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে অভিষেক কমিশনের দিকেই চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন।

অভিষেক উদারণ দিয়ে বুঝিয়ে বলেন, “কমিশন বলছে, ৭  দিনের মধ্যে আমাদের কাছে যদি কোনও এফিট ডেফিট জমা না পড়ে, তাহলে নাকি আমাদের দাবির কোনও মূল্য নেই কমিশনের কাছে। আমি যদি বলি, ২০২০ সাল থেকে আমার বিরুদ্ধে ইডি-সিবিআই তদন্ত করছে, কিন্তু এখনও আদালতে কোনও কিছু জমা দিতে পারেনি। এমনকি তিন বছর, সাড়ে তিন বছর ধরে জেলে থাকার পরও, তাঁদের বিরুদ্ধে কিছু আদালতে জমা দিতে পারেনি, (নাম না করে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিন প্রসঙ্গ টানেন), তাহলে তর্কের খাতিরে ধরে নিতে পারি, সিবিআই ভুল, যাঁরা জেলে রয়েছেন তাঁরা ঠিক। আমার বিরুদ্ধে ইডি-সিবিআই আদালতে কিছু জমা দিতে পারেনি, তাহলে তাঁদের তদন্তের কোনও সারবত্তা নেই। এটাই ধরে নেওয়া যায় তো?”

অভিষেকের প্রশ্ন, “নির্বাচন কমিশন বলছে, এক সপ্তাহের মধ্যে এফিট ডেফিট জমা দিতে হবে, কিন্তু কেন? দায় তো নির্বাচন কমিশনের। বিহারে SIR করছে, তাতে ৬৫ লক্ষ নাম বাদ গিয়েছে, নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা আছে তো এফিট ডেফিট দিয়ে বলবে, যদি কোথাও কোনও গড়মিল থাকে, তাহলে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার পদত্য়াগ করবেন? তাহলে সেটা এফিট ডেফিট দিয়ে বলুক।” তিনি চ্যালেঞ্জের সুরে বলেন, “যদি নির্বাচন কমিশনার এফিট ডেফিট দেন, তাহলে আমি বলছি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলিও এফিট ডেফিট দেবে।”

অভিষেকের ব্যাখ্যা,  নির্বাচন কমিশনের গাইড লাইন দেখলে কোনওরকম কোনও এফিট ডেফিটের প্রয়োজন পড়ে না। যদি ইলেক্টোরাল রোলে কোথাও কোনও গড়মিল হয়, সেখানে ‘সুয়োমোটো কগনিজেন্স’ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের ERO-র তদন্ত করার ক্ষমতা রয়েছে।

এদিন আরও একবার SIR ইস্যুতে সরব হয়ে অভিষেক স্মরণ করিয়ে দেন, “কমিশনের যুক্তিকে তর্কের খাতিরে সঠিক ধরে নিই, তাহলেও আমার মনে হয়, সদ্য সমাপ্ত এক বছর আগের লোকসভা নির্বাচন তো এই ভোটার লিস্টের ভিত্তিতেই হয়েছে। আগে সরকারের পদত্যাগ করে SIR করে নির্বাচন করুক।”
বাংলা থেকে একজনের নাম বাদ গেলেও, এক লক্ষ বঙ্গবাসীকে নিয়ে দিল্লিতে বৃহত্তর আন্দোলন করার ডাক দিয়েছেন অভিষেক।