Abhishek Banerjee: ধর্ষণ বিরোধী আইন আনতে ‘বিশেষ ক্ষমতা’ প্রয়োগ করবেন অভিষেক!

Abhishek Banerjee: অভিষেকের বক্তব্য, "ভারতবর্ষে ধর্ষণবিরোধী কঠোর আইন আসা উচিত। টাইম বাউন্ড। এক মাস থেকে দুমাসের মধ্যে ট্রায়াল ও কনভিকশন শেষ করে দোষী সাব্যস্ত করার মতো কঠোর আইন ভারতের সংসদে আসা উচিত।"

Abhishek Banerjee:  ধর্ষণ বিরোধী আইন আনতে 'বিশেষ ক্ষমতা' প্রয়োগ করবেন অভিষেক!
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংসদImage Credit source: Facebook
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 28, 2024 | 3:06 PM

কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডে পর এই প্রথম। মেয়ো রোডে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের মঞ্চ থেকে এক যোগে সোচ্চার মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দু’জনই সোচ্চার হলেন দেশে ধর্ষণ-বিরোধী ‘টাইম বাউন্ড’ আইন নিয়ে আসার জন্য। আগামী ৩-৪ মাসের মধ্যে এই আইন প্রণয়ন না করলে দিল্লিতে বড় আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিলেন অভিষেক। আর সঙ্গে বললেন, সাংসদ হিসাবে নিজের বিশেষ ক্ষমতা প্রয়োগ করে আইন নিয়ে আসবেন তিনি।

ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বিচার তবেই হবে যদি আইন আসে। আমরা চাই, যে এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত, সে যেই রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত হোক না কেন, কঠোরতম শাস্তি হোক। প্রয়োজন ধর্ষণ বিরোধী টাইম বাউন্ড আইন। এই আইন যদি আগামী ৩-৪মাসের মধ্যে ভারতে না আসে, কেন্দ্রের সরকার প্রণয়ন না করে, তাহলে দিল্লিতে আন্দোলন হবে। আমরা কেন্দ্রকে দলগতভাবে চিঠি লিখব। মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই লিখেছেন।”

ধর্ষণ বিরোধী আইন প্রনয়ণের ক্ষেত্রে ‘প্রাইভেট মেম্বার বিল’ নিয়ে আসার কথা বলেন অভিষেক। তিনি বলেন, “কেন্দ্রের সরকার যদি এই বিল না আনে, তাহলে প্রাইভেট মেম্বার বিলের মাধ্যমে এই আইন নিয়ে আসতে বাধ্য করব দিল্লির সাংসদদের। প্রত্যেক সাংসদের অধিকার আছে, প্রাইভেট মেম্বার বিল মুভ করিয়ে সেটা বিল হিসাবে আইনসভায় পাশ করিয়ে আইন তৈরি করার। বাংলার মানুষ আমাকে এই অধিকার দিয়েছে।”

উল্লেখ্য, প্রাইভেট মেম্বার বিল হল এমন এক ধরনের বিল যা একজন সংসদ সদস্য  আনতে পারেন। তাই এটিকে একটি বেসরকারি সদস্য বিলও বলা হয়। মন্ত্রী নন এমন সাংসদরা ব্যক্তিগত সদস্য হিসাবে বিবেচিত হন।  অভিষেকের বক্তব্য, “ভারতবর্ষে ধর্ষণবিরোধী কঠোর আইন আসা উচিত। টাইম বাউন্ড। এক মাস থেকে দুমাসের মধ্যে ট্রায়াল ও কনভিকশন শেষ করে দোষী সাব্যস্ত করার মতো কঠোর আইন ভারতের সংসদে আসা উচিত।”

এই মামলার সিবিআই তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন অভিষেক। তিনি বলেন, “৯ তারিখ ঘটনা ঘটেছে। ১০ তারিখ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, যে কেস যদি চায় সিবিআই নিতে পারে। আমরা চাই বিচার হোক। আজ ১৪ দিন সিবিআই তদন্ত করছে। সারদার তদন্তে ১০ বছর হয়েছে, ফাইনাল চার্জশিট জমা পড়েনি। যত তদন্ত হয়েছে, একটারও সুরাহা হয়নি। পার্থ চট্টোপাধ্যায় জেলে, কী বিচার হয়েছে?” তাঁর অভিযোগ, “যাঁরা আন্দোলন করেছেন, বিচার ব্যবস্থাকে কাজে লাগিয়ে বিজেপি তৃণমূলকে কালিমালিপ্ত করতেই সিবিআই-ইডিকে কাজে লাগিয়ে।”

আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)