Abhishek Banerjee: একশো দিনের কাজে ‘ভুক্তভোগীদের’ দেওয়া টাকার উৎস কী, মুখ খুললেন অভিষেক

Abhishek Banerjee: অভিষেক জানালেন, শুধু দলের সব সাংসদের এক মাসের বেতনের থেকে চাঁদা তুলে একশো দিনের কাজের ভুক্তভোগীদের কাছে আর্থিক সাহায্য পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। সোমবার কলকাতা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বললেন, "আমি মানুষকে কথা দিয়েছিলাম ৩ অক্টোবর যন্তর মন্তরের সভা থেকে।"

Abhishek Banerjee: একশো দিনের কাজে ভুক্তভোগীদের দেওয়া টাকার উৎস কী, মুখ খুললেন অভিষেক
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়Image Credit source: Facebook

| Edited By: Soumya Saha

Dec 04, 2023 | 9:05 PM

কলকাতা: একশো দিনের কাজের বকেয়া টাকা আদায়ের দাবিতে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। দিল্লিতে গিয়ে আন্দোলন করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে গিয়েছিলেন আড়াই হাজারেরও বেশি ‘ভুক্তভোগী’। অভিষেক তাঁদের কথা দিয়েছিলেন, সেই প্রতিশ্রুতি পালনের কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। দিল্লিতে গিয়ে আন্দোলনে সামিল হওয়া ভুক্তভোগীদের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে আর্থিক সাহায্য। সেই নিয়ে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিশেষ করে বিরোধীরা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে, এই টাকার উৎস নিয়ে। এবার বিরোধীদের সব সমালোচনার জবাব দিলেন তৃণমূল সাংসদ তথা দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।

অভিষেক জানালেন, শুধু দলের সব সাংসদের এক মাসের বেতনের থেকে চাঁদা তুলে একশো দিনের কাজের ভুক্তভোগীদের কাছে আর্থিক সাহায্য পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। সোমবার কলকাতা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বললেন, “আমি মানুষকে কথা দিয়েছিলাম ৩ অক্টোবর যন্তর মন্তরের সভা থেকে। সব মিলিয়ে প্রায় ২৮০০ জন দিল্লিতে গিয়েছিলেন। অনেক অসুবিধা হয়েছিল। শেষ মুহূর্তে ট্রেন বাতিল করে দিয়েছিল। কোলে-পিঠে বাচ্চা নিয়ে, বাসে করে যাঁরা দিল্লিতে পৌঁছেছিলেন নিজেদের অধিকারের লড়াইয়ের জন্য, তাঁদের প্রতি এটা আমার কমিটমেন্ট ছিল। শুধু আমি একা নই, আমাদের লোকসভা-রাজ্যসভার সাংসদরা সবাই এক মাসের মাইনে থেকে কন্ট্রিবিউট করেছেন। এই ২৮০০ জনের কাছে আমরা আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী এই অর্থনৈতিক সাহায্য পৌঁছে দিয়েছি।”

তবে বিজেপি শিবির থেকে কেউ কেউ প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন এই আর্থিক সাহায্যের টাকার উৎস নিয়ে। তাঁদেরও কড়া ভাষায় জবাব দিলেন অভিষেক। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের সোজাসাপ্টা বক্তব্য, বিজেপি তদন্ত করে দেখুক। বলেন, “ওদের কাছে ইডি, সিবিআই, ইনকাম ট্যাক্স আছে। তদন্ত করুক না। এটা তো পার্লামেন্টের টাকা। তারা যদি মনে করেন দেশের পার্লামেন্ট বা সরকার চুরি করে টাকা কামাচ্ছে, তাহলে চুরির টাকা। এটা তো সাংসদদের মাইনে থেকে টাকা দেওয়া হচ্ছে। ভারত সরকারের টাকা যদি চুরির টাকা হয়, তাহলে তো আমার কিছু করার নেই।”

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য সরকারের কেউ নন। তিনি শাসক দলের নেতা। শাসক দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। সেক্ষেত্রে তিনি কেন টাকা দিতে যাবেন, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। এবার সেই আক্রমণেরও জবাব দিলেন অভিষেক। বললেন, “আমি মানুষের জন্য কাজ করব। আমার দায়বদ্ধতা রয়েছে। তার জন্য বিজেপি-কংগ্রেস-সিপিএম-তৃণমূল হওয়ার দরকার নেই। মানুষের জন্য কাজ করতে গেলে কোনও স্ট্যাম্প লাগে না। আমি দেব না তো কে দেবে? আমি যখন কথা দিয়েছি, আমিই দেব।” একইসঙ্গে বিজেপি বিধায়কদের উদ্দেশেও অভিষেক বললেন, “আপনাদেরও তো বিধানসভায় মাইনে বেড়েছে। আপনারাও মাইনে থেকে সাহায্য দিন না। একশো জন বা পাঁচশো জন মানুষ হলেও তো উপকৃত হবেন তাতে। কে বারণ করেছে?”