Abhishek Banerjee in Keshpur: তৃণমূলের নজরে কেশপুর, আজ কী বার্তা দেবেন অভিষেক?

Abhishek Banerjee in Keshpur: তৃণমূলের নজরে আপাতত কেশপুর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। অভিষেক এদিন গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে বার্তা দিতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।

Abhishek Banerjee in Keshpur: তৃণমূলের নজরে কেশপুর, আজ কী বার্তা দেবেন অভিষেক?
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 04, 2023 | 10:21 AM

কেশপুর : শনিবার সকাল থেকে টানটান উত্তেজনা কেশপুরে। এদিনই কেশপুরে সভা করবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে পশ্চিম মেদিনীপুরের এই গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে তিনি কী বার্তা দেন, সেদিকেই নজর রয়েছে কর্মীদের। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, কেশপুরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ উঠে এসেছে সাম্প্রতিককালেও। তাই এদিন সে বিষয়ে বার্তা দিতে পারেন বলে অনুমান করা হচ্ছে।

কেশপুর হল এমন একটি কেন্দ্র যেখান থেকে তৃণমূল জয় শুরু হয়েছিল। মাঝে পালাবদল হয়েছে। আর সম্প্রতি এই কেশপুরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জর্জরিত ঘাসফুল শিবির। আর এই কেশপুরে আবারও প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছেন একসময়ের দোর্দণ্ডপ্রতাপ সিপিএম নেতা সুশান্ত ঘোষ। কঙ্কাল-কাণ্ডে তিনি জেলে যাওয়ার পর থেকে কেশপুরের রাজনীতি যেমন ছিল, এখন তার থেকে পরিস্থিতি অনেকটাই আলাদা বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে সুশান্তর উপস্থিতি কেশপুরের রাজনীতিতে কোনও প্রভাব ফেলবে কি না, সেদিকেও নজর রাখছে তৃণমূল। এরই মধ্যে আবার গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ উঠেছে ওই কেশপুরেই। সম্প্রতি বোমা বিস্ফোরণের ঘটনাতেও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের বিষয়টা সামনে এসেছে।

অন্যদিকে, এই পশ্চিম মেদিনীপুরে একসময় তৃণমূল সংগঠন তৈরি করেছিল বর্তমান বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে। সেই শুভেন্দুর দলবদলের পর ওই জেলায় বিজেপির সংগঠন পোক্ত হয়েছে বলেও মনে করা হয়। তাই বাম-বিজেপিকে রুখতে এদিন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড কী বার্ত দেন, সেদিকেই তাকিয়ে আছেন কর্মীরা।

শনিবার দুপুরে কেশপুর ব্লকের আনন্দপুর হাইস্কুলের মাঠে জনসভায় বক্তব্য রাখবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দলের কর্মী সমর্থকদের নিয়ে আসার জন্য বাস ও ছোট গাড়ির ব্যবস্থা করেছে দলীয় নেতৃত্ব। জেলা কো অর্ডিনেটর অজিত মাইতি বলেন, ‘মাঠ উপচে পড়বে জমায়েতে। সবাইকে মাঠে বসার জায়গা দেওয়া যাবে বলে মনে হচ্ছে না। বেশ কয়েকটি স্ক্রিন লাগানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’ অজিতের কথায়, প্রায় দু লক্ষ মানুষের জমায়েত হতে পারে এমন মাঠ বেছে নেওয়া হয়েছে। তাতেও কর্মী সমর্থকদের জায়গা নাও হতে পারে। সেজন্য ৫টি জায়েন্ট স্ক্রিন লাগানো হচ্ছে। মাঠে ১৮ টি ব্যারিকেট করা হয়েছে।