Abhishek Banerjee: ‘রাজ্য সরকারকে ফেলতে সবরকম চেষ্টা’, ‘বন্দি’ মন্ত্রী সরাতে সংশোধনী বিল নিয়ে কেন্দ্রকে তোপ অভিষেকের

Abhishek Banerjee: বুধবার লোকসভায় নতুন বিল আনছে কেন্দ্রীয় সরকার। অভিযুক্ত হয়ে পুলিশ হেফাজতে গেলে অপসারণে বিল আনছে কেন্দ্র। লোকসভায় ১৩০ তম সংবিধান সংশোধনী বিল পেশ করবেন অমিত শাহ। নতুন সংশোধনী বিলের আওতায় প্রধানমন্ত্রী থেকে মুখ্যমন্ত্রী সকলেই পড়বেন।

Abhishek Banerjee: রাজ্য সরকারকে ফেলতে সবরকম চেষ্টা, বন্দি মন্ত্রী সরাতে সংশোধনী বিল নিয়ে কেন্দ্রকে তোপ অভিষেকের
অমিত শাহ ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় Image Credit source: TV9 Bangla

Aug 20, 2025 | 12:05 PM

কলকাতা:  গ্রেফতার হলে জনপ্রতিনিধিদের অপসারণে নতুন বিল আনছে কেন্দ্র। আর তাতেই কেন্দ্রকে তীব্র আক্রমণ করছেন তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক  তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রকে বিঁধতে অভিষেক তুলে আনেন PoK প্রসঙ্গও!

নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে অভিষেক লেখেন, “বিরোধী দল এবং সমগ্র জাতির সমর্থন থাকা সত্ত্বেও, কেন্দ্রীয় সরকারের এখনও পিওকে পুনরুদ্ধার করার সাহস নেই। তারা কেবল ফাঁকা বক্তৃতা দেয়, কিন্তু যখন ভারতের সার্বভৌমত্ব রক্ষা, আমাদের সীমান্ত রক্ষা এবং আমাদের শত্রুদের বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে কাজ করার কথা আসে, তখন তারা কোনও প্রকৃত উদ্যোগ দেখায় না।”

তিনি আরও লেখেন, “এই সরকার নিজেকে জনবিরোধী, কৃষকবিরোধী, গরিববিরোধী, তফসিলি জাতিবিরোধী, উপজাতিবিরোধী, ওবিসি-বিরোধী, ফেডারেলবিরোধী এবং সর্বোপরি ভারতবিরোধী হিসেবে প্রমাণ করেছে। দেশের সংবিধান বিক্রি করছে। দেশটাকে ব্যক্তিগত সম্পত্তি ভাবছে।”

অভিষেকের কথায়, ” কেন্দ্র জাতির সার্বভৌমত্ব রক্ষার দায়িত্ব পালনে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। রাজ্য সরকারকে ফেলতে সবরকম চেষ্টা করছে কেন্দ্র।”   সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেছেন অভিষেক।

উল্লেখ্য, আজ, বুধবার লোকসভায় নতুন বিল আনছে কেন্দ্রীয় সরকার। অভিযুক্ত হয়ে পুলিশ হেফাজতে গেলে অপসারণে বিল আনছে কেন্দ্র। লোকসভায় ১৩০ তম সংবিধান সংশোধনী বিল পেশ করবেন অমিত শাহ। নতুন সংশোধনী বিলের আওতায় প্রধানমন্ত্রী থেকে মুখ্যমন্ত্রী সকলেই পড়বেন। কেন্দ্রীয় সরকার, রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে কোনও সরকারের ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী হন কিংবা যে কোনও মন্ত্রী যদি কোনও গুরুতর অপরাধে গ্রেফতার হন,  টানা ৩০ দিন পুলিশ হেফাজতে থাকলেই এই আইন প্রযোজ্য হবে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী, তিনি এ বিষয়ে রাষ্ট্রপতিকে জানাবেন। আর অন্যদিকে, রাজ্যের ক্ষেত্রে রাজ্যপাল এই পদক্ষেপ করবেন। পাঁচ বছরের বেশি সাজা পেলে সরানো যেতে পারে মন্ত্রিত্ব থেকে।


বিরোধীদের অভিযোগ, বরাবর সিবিআই-ইডি-র মতো কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলোকে কাজে লাগিয়ে বিরোধী নেতাদের বা মুখ্যমন্ত্রীদেরও জেলে ভরা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ হয়নি, কিন্তু তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে জেলে ছিলেন। এই বিল আনার অর্থ যে নির্বাচিত সরকার রয়েছে, তা ভেঙে দেওয়ার ক্ষেত্রে পদক্ষেপ করা। সেই বিষয়টি উল্লেখ করেই পোস্ট করেছেন অভিষেক।

এ বিষয়ে তৃণমূল মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী বলেন, “একদিকে ভোট চুরি করে জেতার চেষ্টা করে। আর যে সব জায়গায় ভোট চুরির পরও জিততে পারে না, সেখানে সরকার চুরির চেষ্টা করে। ”

বিজেপি মুখপাত্র জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “চুরির ভোটে জিতে এসে, পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে বলা কিছু বলা সাজে না। ভারতের কাশ্মীর ভাবার অনেক লোক রয়েছে, তবে এ রাজ্যে যে ছোট ছোট কাশ্মীর রয়েছে, দিনহাটা, নানুর, ইলামবাজার, কালিয়াচক এগুলোকে শান্ত করুক।”