কলকাতা: বিচারব্যবস্থার উপর ফের ক্ষোভ উগরে দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্ন অভিযান ঘিরে যে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি মঙ্গলবার হয়েছিল। তা নিয়ে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করেন অভিষেক। সেই কথার রেশ ধরেই আদালতের উদ্দেশে এক প্রকার চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। বলেছেন, “চার ঘণ্টা ধরে বিজেপির গুন্ডারা যে গুন্ডামি করেছে, তার বিরুদ্ধে হাইকোর্ট কী ব্যবস্থা নেবে সে দিকে আমাদের দৃষ্টি থাকবে।” বিজেপির সঙ্গে বিচারব্যবস্থার যোগসাজশের অভিযোগও তুলেছেন অভিষেক। কটাক্ষের সুরে বলেছেন, “হাইকোর্ট, বিচারব্যবস্থার উপর যদি মানুষের বিশ্বাস থাকে। তাহলে একটা লোক আইন হাতে তুলে নেওয়ার আগে দশ বার ভাববে। বিজেপির কর্মী সমর্থকরা তা ভাবে না। কারণ, এরা জানে- আমরা বিজেপি করি। যা ইচ্ছা করব, পার পেয়ে যাব। কোর্ট থেকে বেকসুর খালাস হয়ে যাব। জামিন পেয়ে যাব। পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নিতে পারবে না আমাদের বিরুদ্ধে। বিচারব্যবস্থার একাংশের হাত রয়েছে আমাদের উপরে। ভারতবর্ষের মানুষ এই বিচারব্যবস্থাকে দেখতে চায় না।” বুধবার আহত পুলিশকর্মীদের দেখতে এসএসকেএম হাসপাতালে গিয়েছিলেন অভিষেক। সেখানেই এই মন্তব্য করেছেন।
তবে বিচারব্যবস্থায় এখনও কিছু মানুষ আছেন, যাঁরা ‘মেরুদণ্ড সোজা’ রেখে চলেন বলে মত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এ নিয়ে বলেছেন, “আমি অনুরোধ করব বিচারব্যবস্থাকে। এখনও অনেক লোক রয়েছেন যাঁদের মেরুদণ্ড সোজা। আমরা প্রণাম জানাই সেই সব লোকেদের। তাঁরা স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে বিচারব্যবস্থার মান রক্ষা করছেন। একাংশের প্রত্যক্ষ মদতে বিজেপির গুন্ডাদের আশ্রয় দিয়েছে তা ভারতের বুকে নজিরবিহীন।” নবান্ন অভিযানে এসে গুন্ডাগিরি করা বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে হাইকোর্ট কী ব্যবস্থা নেবে, তাও দেখবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
এই প্রথম নয়। এর আগেও বিচারব্যবস্থাকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছিলেন অভিষেক। মাস তিনেক আগে হলদিয়ার এক জনসভা থেকে অভিষেক বলেছিলেন, “বিচারব্যবস্থায় একজন- দু’জন এমন লোক আছেন, যাঁরা সম্পূর্ণ যোগসাজশে কাজ করছেন।”
যদি অভিষেকের বুধবারের অভিযোগের গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। অভিষেকের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তিনি বলেছেন, “আদালত চুরির পক্ষে রায় দিচ্ছে না বলে রাগ হচ্ছে। উনি বুঝতে পারছেন বিচারব্যবস্থা অর্থের কাছে বিকিয়ে যায়নি।”