
কলকাতা: প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী বা অন্য কোনও মন্ত্রী কোনও অপরাধে জেলে বন্দি থাকলে, ৩০ দিন পর তাঁকে পদত্যাগ করতে হবে। ১৩০ তম সংবিধান সংশোধনী বিলে একথাই বলা হয়েছে। আর সেই বিলে আপত্তি জানিয়ে সরব হল তৃণমূল। শর্ত বেঁধে দিলেন দলের সাংসদ তথা তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তাঁর দাবি, মার্শালদের দিয়ে ঘিরে বিল পেশ করতে হয়েছে বুধবার।
বুধবার লোকসভায় বিল পেশ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। যৌথ সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়েছে সেই বিল। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অভিষেকের প্রশ্ন, ৩০ দিন জেল হেফাজতে থাকলে যদি ৩১ তম দিনে পদত্যাগ করতে হয়, তাহলে অভিযুক্ত আত্মপক্ষ সমর্থনের সময়টুকুও পাবে না। তাঁর মতে, এই সিদ্ধান্ত কোর্টের নেওয়া উচিৎ। অভিষেক বলেন, “তাহলে তো কোর্টের কোনও দরকার নেই। বিচার ব্যবস্থাকে বুড়ো আঙুল দেখানো হচ্ছে। বিজেপি বলবে, বিরোধীরা ভয় পাচ্ছে। তৃণমূল ভয় পেলে বাড়িতে বসে থাকত। আমরা ইডি-সিবিআইকে তোয়াক্কা করি না।”
অভিষেকের দাবি, সরকার ভেঙে দেওয়াই বিজেপির মূল উদ্দেশ্য। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, “বিরোধীদের কী করে শেষ করে দেওয়া যায়। গ্রেফতার করে জেলে ঢোকানো যয়া, তার জন্যই এই বিল।” তাঁর দাবি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার ২৮ জন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন কেস রয়েছে, ১৯ জনের বিরুদ্ধে খুন, নারী নির্যাতনের মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। বিল পাশ হলে তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর হবে? তিনি আরও দাবি করেন, ২৫ জন অভিযুক্ত নেতা-মন্ত্রী বিজেপিতে যাওয়ার পর তদন্ত বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
নতুন বিল নিয়ে এদিন শর্তও দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “৩১ দিনে পদত্যগ করতে হবে কেন? আমি চ্যালেঞ্জ করছি। সময়টা কমিয়ে ১৫ দিন করুন, আমরা সাপোর্ট করব। কিন্তু শর্ত থাকবে, দোষ প্রমাণিত না হলে তদন্তকারী অফিসারকে দ্বিগুণ সময় জেলে থাকতে হবে।” তৃণমূল সাংসদের কটাক্ষ, এসআইআর নিয়ে কেন্দ্র সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেয়েছে। এসআইআর থেকে মুখ ঘোরানোর চেষ্টা চলছে।