
কলকাতা: ভোটার তালিকার নিবিড় পরিমার্জনের কাজে দলের কর্মীদের ভূমিকায় সন্তুষ্ট নন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বেশ কিছু জেলায় দলের পারফরমেন্স ক্ষোভ তৈরি করেছে তাঁর মনে। পূর্ণ হয়নি প্রত্যাশা। তাই যেন সেই পারফরমেন্স ঠিক করতেই ভার্চুয়াল বৈঠকের ডাক তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের।
দলীয় সূত্রে খবর, আগামী ২৪ নভেম্বর অর্থাৎ সোমবার ভোটার তালিকার নিবিড় পরিমার্জন প্রক্রিয়া নিয়ে দলের সর্বস্তরের নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করতে চলেছেন অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। বিকাল চারটে নাগাদ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি যোগ দেবেন তিনি। অভিষেকের নির্দেশ মেনে সেই বৈঠকে যোগ দিতে চলেছে প্রায় ১০ হাজারের বেশি নেতা-কর্মী।
বিধানসভা নির্বাচনের আগে কয়েক মাস আগে রাজ্যে চলছে নিবিড় পরিমার্জনের কাজ। আর এই আবহে ঠাকুরনগর একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে বলেই মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। ঠাকুরনগরে মতুয়াদের ভোটব্য়াঙ্ক। এসআইআর-এর কারণে সেই ভোটব্যাঙ্ক যদি রুষ্ঠ হয় বা কোনও কারণে হাতছাড়া হয়, তা হলে তার প্রভাব কিছুটা হলেও শাসকশিবিরের ভোটে পড়বে বলেই মত একাংশের। ফলত, সেই ঠাকুরনগরে বিশেষ করে মতুয়াদের উপর বাড়তি নজর দিতে চান অভিষেক।
শুধুই ঠাকুরনগর নয়, এসআইআর পর্বের শুরু থেকেই উত্তর ২৪ পরগনা থেকেছে উত্তেজনার প্রাণকেন্দ্র। কখনও ভোটার তালিকা, কখনও বা অনুপ্রবেশ নানা প্রসঙ্গ উঠেছে সেখানে। তাই সেই উত্তর ২৪ পরগনাতেও অভিষেক বাড়তি নজর দিতে পারেন বলেই মত একাংশের।
অবিলম্বে স্থগিত করে দেওয়া হোক এসআইআর প্রক্রিয়া, প্রশিক্ষণ দেওয়া হোক বিএলও-দের। সম্প্রতি এই দাবিতেই কমিশনের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। পরিকল্পনাহীন ভাবে কর্তব্যরত আধিকারিকদের এবং সাধারণ মানুষের উপর চাপ তৈরি করা হচ্ছে বলেই কমিশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন তিনি। পাশাপাশি, এমন এসআইআর প্রক্রিয়াকে ‘বিপজ্জনক‘ বলেই কমিশনকে পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
একদিকে বিএলও-দের উপর তৈরি চাপ নিয়ে চিন্তিত মমতা। সেই আবহে দলের বিএলএ-দের পারফরমেন্স ক্ষোভ তৈরি করেছে অভিষেকের মনে। তা হলে সোমবারের বৈঠক দলকে কি নিবিড় পরিমার্জনের কাজে আরও সক্রিয় হওয়ার বার্তাই দেবেন তিনি?