Arpita Mukherjee: ইডি আদালতে ‘ভুখা’ অর্পিতা, কী বললেন পার্থ-বান্ধবী?
Arpita Mukherjee's bank account seized: অর্পিতার আইনজীবীর দাবি, ২০০৪ সালে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে তিনটি অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন তাঁর মক্কেল। যেখানে তাঁর অভিনয়, মডেলিং থেকে আয়ের টাকা রাখা আছে। ওই অ্যাকাউন্টের সঙ্গে দুর্নীতির কোনও যোগ পায়নি ইডি। তা সত্ত্বেও অ্যাকাউন্টগুলি আটকে রাখায় সমস্যায় পড়েছেন অভিনেত্রী।

কলকাতা: তাঁর দুটি ফ্ল্যাট থেকে টাকার পাহাড় উদ্ধারের ছবি দেখেছে বঙ্গবাসী। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁকেও গ্রেফতার করেছিল ইডি। বর্তমানে জামিনে মুক্ত রয়েছেন। সেই অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কেই এখন নাকি ‘ভুখা’ থাকতে হচ্ছে। জীবনযাপনে সমস্যা হচ্ছে। কারণ, ইডি তাঁর তিনটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করে রেখেছে। সেই তিনটি অ্যাকাউন্ট যাতে ইডি খুলে দেয়, সোমবার ইডি আদালতে সেই আবেদন জানালেন পার্থ-বান্ধবী অর্পিতা।
কী বলছেন অর্পিতার আইনজীবী?
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে অর্পিতার তিনটি অ্যাকাউন্ট যাতে ইডি খুলে দেয়, সেজন্য ইডি আদালতে আবেদন করেছিলেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। সোমবার এই মামলার শুনানিতে অর্পিতার আইনজীবী ইডি আদালতে জানান, অর্পিতার গুরুত্বপূর্ণ তিনটি অ্যাকাউন্ট ইডি আটকে রাখায় তাঁর জীবনযাপনে সমস্যা হচ্ছে। কার্যত “ভুখা” রয়েছেন তিনি।
অর্পিতার আইনজীবীর দাবি, ২০০৪ সালে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে তিনটি অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন তাঁর মক্কেল। যেখানে তাঁর অভিনয়, মডেলিং থেকে আয়ের টাকা রাখা আছে। ওই অ্যাকাউন্টের সঙ্গে দুর্নীতির কোনও যোগ পায়নি ইডি। তা সত্ত্বেও অ্যাকাউন্টগুলি আটকে রাখায় সমস্যায় পড়েছেন অভিনেত্রী। এদিন অর্পিতার আইনজীবীর সওয়ালের পর নতুন করে আবেদনের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২২ জুলাই অর্পিতার দুটি ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে নগদ ৫০ কোটির বেশি টাকা ও গয়না উদ্ধার করেছিল ইডি। টাকার স্তূপ দেখে চমকে উঠেছিলেন অনেকে। তারপর নিয়োগ দুর্নীতি মামলার জল অনেকদূর গড়িয়েছে। অর্পিতার পর জামিনে ছাড়া পেয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কয়েকদিন আগে অর্পিতা জানিয়েছিলেন, পার্থ জামিনে ছাড়া পাওয়ার পর তাঁর সঙ্গে এখনও কোনও কথা হয়নি। এদিকে, জামিনে জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর অর্পিতা প্রসঙ্গে পার্থ বলেছিলেন, “যাঁর বৌ আছে…তার দুটো বান্ধবী থাকতে পারে। আর আমার বৌ নেই, একটা বান্ধবী থাকতে পারে না? আমি সদর্পে বলছি।”
