
কখনও পাচার রোখা, কখনও বা অনুপ্রবেশে বাধা, সীমান্তে সদা সর্বদা প্রহরায় রয়েছে বিএসএফ। মালদহ-মুর্শিদাবাদ-নদিয়া সহ সীমান্তবর্তী এলাকাগুলি থেকে যাতে কোনওভাবেই বেআইনিভাবে ভারতে বাংলাদেশিরা ঢুকে পড়তে না পারে সেদিকেই কড়া নজর রাখে তারা। এই আবহের মধ্যেই এবার বিএসএফ-এর ইস্টার্ন কমান্ডের অতিরিক্ত এডিজি তথা আইপিএস মহেশ কুমার আগরওয়াল নদিয়া, মুর্শিদাবাদ ও মালদহের সীমান্তবর্তী এলাকায় তিন দিনের একটি বিস্তৃত সফর করেন। মূলত, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের নিরাপত্তা আরও জোরদার করতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
গত ১০ জুন আগরওয়াল ১১ ব্যাটালিয়নের অধীনে শিকারপুর সীমান্ত ফাঁড়ি পরিদর্শন করেন। এই সফরের সময় তিনি সীমান্তের ব্যবস্থাপনা, অপারেশনাল প্রস্তুতি ও টহল কেমন চলছে সেই নিয়ে মিটিং করেন। পরিবেশ সুরক্ষার জন্য বৃক্ষ রোপণ করেন। এরপর, তিনি মধুবানা এবং জলঙ্গি সীমান্ত ফাঁড়ি পরিদর্শন করেন। কথা বলেন সেখানে কর্তব্যরত বিএসএফ জওয়ানদের সঙ্গে। জওয়ানদের থেকে শোনেন চোরাচালান, অনুপ্রবেশ এবং সীমান্তের পরিস্থিতির বিষয়ে। এরপর সেখানে কী কী করনীয় তাও কর্তব্যরত জওয়ানদের বুঝিয়ে দেন তিনি।
সফরের দ্বিতীয় দিনে আগরওয়াল ৭৩ ব্যাটালিয়নের নবনির্মিত কাকমারিচর সীমান্ত ফাঁড়ি উদ্বোধন করেন। সেখানে কর্তব্যরত জওয়ানদের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি। আরও বেশি করে সতর্ক করেন। এরপর সেখানে তিনি নৌকায় টহল দেন। এমনকী, এডিজি রাতের টহল এবং নজরদারি ব্যবস্থার পুঙ্খানুপুঙ্খ পরিদর্শনও করেন।
১২ জুন তার সফরের শেষ দিনে, তিনি বিএসএফের সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স মালদার অধীনে ১১৯ ব্যাটালিয়নের মাহদিপুর সীমান্ত ফাঁড়ি পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে তিনি সেখানে মোতায়েন জওয়ানদের সঙ্গে দেখা করেন। বিভিন্ন বিষয় জানতে চান।
এই তিন দিনের সফর শেষে বিএসফ কর্তা স্পষ্টত জানিয়েছেন, সীমান্তে কোনও রকম বাংলাদেশিদের বেয়াদপি সহ্য করা হবে না। বিশেষ করে অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান শক্ত হাতে দম করা হবে।