Students Union Election: কেন থমকে ছাত্রভোট? কোথায় জটিলতা? হাইকোর্টে সব জানাল রাজ্য

Calcutta High Court: রাজ্যের প্রায় ৫০০ কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া ঋশভ সাহা। সেই মামলার প্রেক্ষিতে রাজ্যের অবস্থান জানতে চেয়েছিল আদালত। মঙ্গলবার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চে সেই মামলার শুনানি ছিল।

Students Union Election: কেন থমকে ছাত্রভোট? কোথায় জটিলতা? হাইকোর্টে সব জানাল রাজ্য
ছাত্রভোটের দাবিতে বিক্ষোভ (ফাইল ছবি)Image Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: Soumya Saha

Oct 03, 2023 | 1:32 PM

কলকাতা: রাজ্যের বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে দীর্ঘদিন ধরে থমকে রয়েছে ছাত্র সংসদের নির্বাচন। দ্রুত ছাত্র ভোট করানোর দাবিতে ইতিমধ্যেই একাধিকবার সরব হয়েছে বিরোধী ছাত্র সংগঠনগুলি। এবার সেই নিয়ে মামলা গড়িয়েছে কলকাতা হাইকোর্টেও। রাজ্যের প্রায় ৫০০ কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া ঋশভ সাহা। সেই মামলার প্রেক্ষিতে রাজ্যের অবস্থান জানতে চেয়েছিল আদালত। মঙ্গলবার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চে সেই মামলার শুনানি ছিল। বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজ্যের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ছাত্র ভোট কেন করানো যাচ্ছে না, সেই বিষয়ে এদিন আদালতে সরকার পক্ষের বক্তব্য জানান রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল।

রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল এদিন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে জানান, স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত আইনত রাজ্যের সব কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন করানো সম্ভব হচ্ছে না। উল্লেখ্য, রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে সম্প্রতি অচলাবস্থা কাটাতে উপাচার্য নিয়োগ করেছেন রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য সিভি আনন্দ বোস। সেই উপাচার্য নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে মামলা করা হয়েছে। সেই বিষয়টিও এদিন আদালতে জানান রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল। তাঁর বক্তব্য, যেহেতু একটি মামলা শীর্ষ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে, তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে ছাত্র ভোটের আয়োজন করা সম্ভব হচ্ছে না। অ্যাডভোকেট জেনারেল এদিন আদালতে একটি রিপোর্টও জমা দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ইউনিভার্সিটিস অ্যান্ড কলেজেস রুলকে চ্যালেঞ্জ করে মামলাকারীরা মামলা করেছে। অভিযোগ করা হচ্ছে, এই বিধি-বলে যাঁরা কলেজের অধ্যাপক ও অন্যান্য পদাধিকারীরা রয়েছেন, তাঁরাই ছাত্র সংসদের প্রেসিডেন্ট-সহ অন্যান্য পদে বসে পড়েছেন। এই বিষয়ে আদালতে উত্তর দেওয়ার জন্য আরও সময় চেয়ে নিয়েছেন অ্যাডভোকেট জেনারেল। ২ সপ্তাহ পরে এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন স্থির হয়েছে।

প্রসঙ্গত, এর আগে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠান থেকে তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশ্বাস দিয়েছেন, পুজোর পর ছাত্রভোট করিয়ে দেওয়ার বিষয়ে। রাজ্য সরকার সূত্রে যা খবর, ছাত্র ভোট করানোর আগে বিধানসভায় একটি বিলের সংশোধনী আনা হবে।