Suvendu Adhikari: SIR-এর পর ভবানীপুরের ৭৭ নম্বর ওয়ার্ডেও লিড পাবে না TMC: শুভেন্দু

Suvendu Adhikari On Bhawanipur: বিশ্লেষকদের কথায়, SIR আবহে মমতার এহেন মন্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। যেখানে ভোটার তালিকা পরিমার্জনের প্রস্তুতি শুরু হচ্ছে, সেখানে নতুন ভোটার এবং তাঁরা কারা, আর কাদের নাম বাদ যাচ্ছে, সেই বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখার বার্তা দিয়েছেন মমতা।

| Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Oct 16, 2025 | 6:04 PM

কলকাতা: দুয়ারে বিধানসভা নির্বাচন। হটসিট ভবানীপুর নিয়ে এখন জোর চর্চা। নেপথ্যে SIR আবহে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভবানীপুরে ‘আউটসাইডার’ বিতর্ক। অবশ্য তার আগে থেকেই ভবানীপুর আসন নিয়ে একাধিক মন্তব্য করেছেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই আসনে লড়বারও বার্তা দিয়ে রেখেছেন তিনি। এবার তাঁর বক্তব্য, ভবানীপুর আসন কখনও তৃণমূলের জন্য সেফ সিট নয়। শুধু চেতলার ৭৭ নম্বর ওয়ার্ডের লিডে ভর করে জিতেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। SIR-এর পর ওই ওয়ার্ডেও লিড পাবে না তৃণমূল।


শুভেন্দু বলেন, “ভবনীপুর আসন তৃণমূলের জন্য নিরাপদ ছিল না, আজও নেই। কারণ ভবানীপুরে সংখ্যালঘু আসন মাত্র ২০ শতাংশ। তাও চেতলার ৭৭ নম্বর ওয়ার্ডের ১৭ হাজার ভোট লিড নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা তাঁর দল ৭ হাজার ৮০০ ভোটে জিতেছে। SIRএ বাংলাদেশি সংখ্যালঘুদের নাম বাদ চলে যাওয়ার পরে ওই আসনেও লিড পাবে না।” গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি সেখানে ৮টার মধ্যে ৫টা ওয়ার্ডে লিড পেয়েছে। শুভেন্দুর কথায়, “২০১৪ সালে দক্ষিণ কলকাতায় বিজেপির যিনি প্রার্থী ছিলেন, প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায়, তিনি ওই ওয়ার্ডে লিড পেয়েছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই এই আসনটি বিজেপির।”

উল্লেখ্য,  মঙ্গলবার আলিপুরের ধনধান্য প্রেক্ষাগৃহে মুখ্যমন্ত্রীর বিধানসভা কেন্দ্র ভবানীপুর তৃণমূলের তরফে বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করা হয়। সে সময়ে উত্তরবঙ্গে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। SIR আবহে ভবানীপুরের দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে নেত্রী বার্তা দেন, “‘‘ভবানীপুরটা পুরো আউটসাইডারদের দিয়ে ভরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। পুরো একটা প্ল্যানিং করে। আউটসাইডার নামে যাঁরা বেঙ্গলে থাকেন, তাঁদের আমি আউটসাইডার বলছি না। যাঁরা হঠাৎ করে বাইরে থেকে এসে টাকা খরচ করে জায়গা কিনে বাড়ি তৈরি করছেন, তাঁদের কথা বলছি।” মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘‘ভবানীপুর আমার নিজের বিধানসভা কেন্দ্র। সারা বাংলার সঙ্গে আমি ভবানীপুরকেও বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখি।” ভবানীপুরের ‘আউটসাইডার’ তত্ত্ব খাড়া করে মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন,  অনেক এলাকায় গরিব মানুষের বস্তি ভেঙে দিয়ে বড় বাড়ি তৈরি হচ্ছে। এ ভাবে ভোটারদের তাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।

বিশ্লেষকদের কথায়, SIR আবহে মমতার এহেন মন্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। যেখানে ভোটার তালিকা পরিমার্জনের প্রস্তুতি শুরু হচ্ছে, সেখানে নতুন ভোটার এবং তাঁরা কারা, আর কাদের নাম বাদ যাচ্ছে, সেই বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখার বার্তা দিয়েছেন মমতা।

এদিকে,  গত বিধানসভা নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ‘টেস্টেড এন্ড সাকসেসফুল নেতা’ হিসাবে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে দায়িত্ব দিয়েছে পদ্মশিবির। আর সেই দায়িত্ব হাতে নিয়েই চলতি বছরের গোড়া থেকে ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে ওয়ার্ড এবং বুথের পরিস্থিতি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পেতে সমীক্ষা শুরু করিয়েছিলেন শুভেন্দু। মুখ্যমন্ত্রীর এহেন মন্তব্যের পর শুভেন্দু বলেছিলেন, “নন্দীগ্রামে হারিয়েছি, ভবনীপুরেও হারাব।” যদিও শুভেন্দুর এই মন্তব্যে একেবারেই আমল দেননি তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব।

শুভেন্দুর মন্তব্যের পাল্টা পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ” ভবানীপুর নন্দীগ্রাম নয় যে কারচুপি করে জিতে যাবেন। এখানে মানুষের ভোট হয়। মানুষ নিজেদের ভোটটা নিজেরা দেয়। সচেতনভাবে দেয়।”

শুভেন্দুর বক্তব্যের পাল্টা তৃণমূল মুখপাত্র জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, “অনেক ভবিষ্যতের কথা বলছেন। স্বপ্নের বিরিয়ানিতে ঘি ঢালছেন। কিন্তু এই স্বপ্ন তো দুঃস্বপ্ন হয়ে যাবে। এই তথ্য দিয়ে তো নির্বাচন জেতা যায় না।”

কলকাতা: দুয়ারে বিধানসভা নির্বাচন। হটসিট ভবানীপুর নিয়ে এখন জোর চর্চা। নেপথ্যে SIR আবহে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভবানীপুরে ‘আউটসাইডার’ বিতর্ক। অবশ্য তার আগে থেকেই ভবানীপুর আসন নিয়ে একাধিক মন্তব্য করেছেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই আসনে লড়বারও বার্তা দিয়ে রেখেছেন তিনি। এবার তাঁর বক্তব্য, ভবানীপুর আসন কখনও তৃণমূলের জন্য সেফ সিট নয়। শুধু চেতলার ৭৭ নম্বর ওয়ার্ডের লিডে ভর করে জিতেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। SIR-এর পর ওই ওয়ার্ডেও লিড পাবে না তৃণমূল।


শুভেন্দু বলেন, “ভবনীপুর আসন তৃণমূলের জন্য নিরাপদ ছিল না, আজও নেই। কারণ ভবানীপুরে সংখ্যালঘু আসন মাত্র ২০ শতাংশ। তাও চেতলার ৭৭ নম্বর ওয়ার্ডের ১৭ হাজার ভোট লিড নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা তাঁর দল ৭ হাজার ৮০০ ভোটে জিতেছে। SIRএ বাংলাদেশি সংখ্যালঘুদের নাম বাদ চলে যাওয়ার পরে ওই আসনেও লিড পাবে না।” গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি সেখানে ৮টার মধ্যে ৫টা ওয়ার্ডে লিড পেয়েছে। শুভেন্দুর কথায়, “২০১৪ সালে দক্ষিণ কলকাতায় বিজেপির যিনি প্রার্থী ছিলেন, প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায়, তিনি ওই ওয়ার্ডে লিড পেয়েছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই এই আসনটি বিজেপির।”

উল্লেখ্য,  মঙ্গলবার আলিপুরের ধনধান্য প্রেক্ষাগৃহে মুখ্যমন্ত্রীর বিধানসভা কেন্দ্র ভবানীপুর তৃণমূলের তরফে বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করা হয়। সে সময়ে উত্তরবঙ্গে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। SIR আবহে ভবানীপুরের দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে নেত্রী বার্তা দেন, “‘‘ভবানীপুরটা পুরো আউটসাইডারদের দিয়ে ভরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। পুরো একটা প্ল্যানিং করে। আউটসাইডার নামে যাঁরা বেঙ্গলে থাকেন, তাঁদের আমি আউটসাইডার বলছি না। যাঁরা হঠাৎ করে বাইরে থেকে এসে টাকা খরচ করে জায়গা কিনে বাড়ি তৈরি করছেন, তাঁদের কথা বলছি।” মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘‘ভবানীপুর আমার নিজের বিধানসভা কেন্দ্র। সারা বাংলার সঙ্গে আমি ভবানীপুরকেও বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখি।” ভবানীপুরের ‘আউটসাইডার’ তত্ত্ব খাড়া করে মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন,  অনেক এলাকায় গরিব মানুষের বস্তি ভেঙে দিয়ে বড় বাড়ি তৈরি হচ্ছে। এ ভাবে ভোটারদের তাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।

বিশ্লেষকদের কথায়, SIR আবহে মমতার এহেন মন্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। যেখানে ভোটার তালিকা পরিমার্জনের প্রস্তুতি শুরু হচ্ছে, সেখানে নতুন ভোটার এবং তাঁরা কারা, আর কাদের নাম বাদ যাচ্ছে, সেই বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখার বার্তা দিয়েছেন মমতা।

এদিকে,  গত বিধানসভা নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ‘টেস্টেড এন্ড সাকসেসফুল নেতা’ হিসাবে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে দায়িত্ব দিয়েছে পদ্মশিবির। আর সেই দায়িত্ব হাতে নিয়েই চলতি বছরের গোড়া থেকে ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে ওয়ার্ড এবং বুথের পরিস্থিতি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পেতে সমীক্ষা শুরু করিয়েছিলেন শুভেন্দু। মুখ্যমন্ত্রীর এহেন মন্তব্যের পর শুভেন্দু বলেছিলেন, “নন্দীগ্রামে হারিয়েছি, ভবনীপুরেও হারাব।” যদিও শুভেন্দুর এই মন্তব্যে একেবারেই আমল দেননি তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব।

শুভেন্দুর মন্তব্যের পাল্টা পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ” ভবানীপুর নন্দীগ্রাম নয় যে কারচুপি করে জিতে যাবেন। এখানে মানুষের ভোট হয়। মানুষ নিজেদের ভোটটা নিজেরা দেয়। সচেতনভাবে দেয়।”

শুভেন্দুর বক্তব্যের পাল্টা তৃণমূল মুখপাত্র জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, “অনেক ভবিষ্যতের কথা বলছেন। স্বপ্নের বিরিয়ানিতে ঘি ঢালছেন। কিন্তু এই স্বপ্ন তো দুঃস্বপ্ন হয়ে যাবে। এই তথ্য দিয়ে তো নির্বাচন জেতা যায় না।”