Demand Of School Reopening: স্কুল খোলার দাবিতে পথে ৩ ছাত্র সংগঠন! বিক্ষোভের ত্র্যহস্পর্শে আজ ফের উত্তাল হতে পারে শহর
Demand Of School Reopening: বিকাশ ভবনে ডেপুটেশন দেবে এবিভিপিও। ফরে আরও একবার এদিন উত্তাল হতে পারে শহর। প্রস্তুত পুলিশ প্রশাসনও।
কলকাতা: রাজ্যে স্কুল-কলেজ খোলার দাবিতে চলছে বিক্ষোভ, আন্দোলন। সরকারের ওপর আরও চাপ বাড়াতে ক্রমাগত জোরালো হচ্ছে সওয়াল। সোমবার স্কুল খোলার দাবিতে কর্মসূচি রয়েছে তিন ছাত্র সংগঠনের। কলেজ স্কোয়ারে বিক্ষোভ এসএফআই-এর। রয়েছে প্রধান শিক্ষকদের রয়েছে বিকাশ ভবন অভিযান। দুপুরে বিকাশ ভবনে অভিযান ছাত্র পরিষদের। বিকাশ ভবনে ডেপুটেশন দেবে এবিভিপিও। ফরে আরও একবার এদিন উত্তাল হতে পারে শহর। প্রস্তুত পুলিশ প্রশাসনও।
স্কুল খোলা নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে সরকার। তবে ইতিমধ্যেই হাইকোর্টে দায়ের হওয়া চারটি জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে এজি জানিয়েছেন, এখনও স্কুল খুলতে প্রস্তুত নয় সরকার। কারণ প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীর টিকাকরণ এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। সেক্ষেত্রে বোর্ড চাইছে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে স্কুল খুলতে। এদিকে, ছাত্রসমাজ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, এই অভিযোগ তুলে স্কুল খোলার দাবি জানাচ্ছে ছাত্র সংগঠন থেকে শুরু করে শিক্ষকদেরও একাংশ। ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি করেছেন চিকিৎসকদেরও একাংশ।
অ্যাডভাইজারি বোর্ডের পরামর্শদাতা ডা. সুকুমার মুখোপাধ্যায় রাজ্য সরকারকে স্কুল খোলার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি মনে করেন, ‘দীর্ঘ সময় ধরে স্কুল বন্ধ থাকার ফলে স্কুলে ড্রপ-আউট বাড়ছে।”
এই পরিস্থিতিতে সোমবার ফের শহরে তিন ছাত্র সংগঠনের বিক্ষোভ। ইস্যু একই। অবিলম্বে খুলতে হবে স্কুল। একদিকে যেমন বিকাশ ভবনে ছাত্র পরিষদের কর্মসূচি রয়েছে, তেমনটি কর্মসূচি রয়েছে এবিভিপিরও। এদিকে, প্রধান শিক্ষকদের একাংশ একই দাবিতে যাবেন বিকাশ ভবনে। তিন কর্মসূচিরও সময়ের ব্যবধান খানিকটা এপাশ-ওপাশ।
প্রসঙ্গত, স্কুল খোলার দাবিতে এসএফআই ও এবিভিপির জোড়া বিক্ষোভে বৃহস্পতিবার উত্তাল হয়ে ওঠে কলেজ স্ট্রিট। ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা বিক্ষোভকারীদের, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি- পরিস্থিতি সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খায় পুলিশ।
আধ ঘণ্টার দাবিতে একই ইস্যুতে একই জায়গায় বিক্ষোভ কর্মসূচি ছিল এসএফআই ও এবিভিপি-র। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে স্কুল খোলার দাবিতে বেলা ১২ নাগাদ বিক্ষোভ কর্মসূচিতে নামে এসএফআই। আধ ঘণ্টার ব্যবধানে একই দাবিতে একই জায়গায় পথে নামে এবিভিপি।
সিপিআইএম নেতা সৃজন ভট্টাচার্য বলেন, “স্কুল কলেজ দীর্ঘদিন ধরেই বন্ধ। শ্রমজীবী পরিবারের ছেলেমেয়েরা দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চিত হচ্ছে। সরকার বড় বড় অনলাইন অ্যাপগুলির ব্যবসা বাড়াতে চাইছে। অনলাইনে ক্লাস করার ক্ষমতা সবার নেই। শিক্ষার মৌলিক অধিকারটুকু কেড়ে নেওয়া হচ্ছে।”
বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “ভয় কাটিয়ে মাস্ক পরে স্কুলে যাক পড়ুয়ারা। এখন পড়ুয়াদের ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়েছে। স্কুল যাওয়ার জন্য সাবধানতার প্রয়োজন, ভয়ের পরিবেশ নয়।”