
কলকাতা: দোরগোড়ায় নির্বাচন। তার আগে এ বার নিজের সংসদীয় এলাকায় ‘সেবাশ্রয় ২’ শুরু করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার থেকে মহেশতলা বিধানসভার অন্তর্গত একাধিক এলাকায় শুরু হয়েছে সেবাশ্রয় স্বাস্থ্যশিবির। উদ্বোধন করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
ডায়মন্ড হারবার মডেল নিয়ে আত্মবিশ্বাসী অভিষেক। সোমবার ‘সেবাশ্রয় ২’-এর মঞ্চ থেকে সেই বার্তাই দিলেন তিনি। পাশাপাশি, তুলে ধরলেন স্বাস্থ্যশিবিরের আগামীর রূপরেখা। এদিন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ বলেন, ‘মহেশতলার জন্য দু’টি স্বাস্থ্যশিবির করা হয়েছে। রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে মানুষজন এসেছেন। আমরা কাউকে ফেরায়নি। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে অন্যান্য বিধানসভাগুলিতে ৭ দিনের জন্য একটি করে স্বাস্থ্যশিবির করব।’
ইতিমধ্যেই ১২ লক্ষ মানুষকে বিনামূল্যে পরিষেবা প্রদান করা হয়েছে ‘সেবাশ্রয় ২’। সোমবার উদ্বোধনী মঞ্চ থেকেই সেই তথ্য তুলে ধরলেন অভিষেক। সঙ্গে জানালেন, প্রত্য়েক রোগীর ওষুধপত্রেরও ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। আগামী দিনেও তাঁদের আপডেট নেওয়া হবে বলেই জানিয়েছেন অভিষেক।
সোমবার শীতকালীন অধিবেশন শুরুর দিনেই বিরোধীদের দিকে খোঁচা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সংসদ ড্রামা করার জায়গা নয়।’ মোদীর এই কথায় চটেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সরব হয়েছেন ‘সেবাশ্রয় ২’-এর উদ্বোধনী মঞ্চ থেকেই। অভিষেকের কথায়, ‘এসআইআর-এর জেরে বাংলায় ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আমরা এসআইআর-এর বিরোধী নই। কিন্তু এই অপরিকল্পিত উদ্যোগের বিরোধী। ছয় মাস ধরে এসআইআর করুন, আমাদের কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু বিএলওদের সঠিক ভাবে প্রশিক্ষণ দিন। আর আমরা এই সব নিয়ে আলোচনা চাইলে আমাদের দাবিকে ড্রামা বলা হয়।’
শুধুই ভোটার তালিকার নিবিড় পরিমার্জনই নয়। বঞ্চনা ইস্যুতেও সরব হয়েছেন অভিষেক। তাঁর দাবি, ‘হাইকোর্ট একশো দিনের কাজ শুরু করার নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু মোদী সরকার সেই নির্দেশকেও এখনও মানেনি। কাজ শুরু হয়নি। রাজ্যের ২ লক্ষ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। এক টাকাও ফেরত দেয়নি কেন্দ্র।’
এদিন সেবাশ্রয়ের মঞ্চ থেকে রাজ্যের থেকে পাওয়া করের খতিয়ানও তুলে ধরেন অভিষেক। তাঁর দাবি, গত সাত বছরে কেন্দ্র প্রত্য়ক্ষ এবং পরোক্ষ করের দৌলতে বাংলা থেকে ৬ লক্ষ ৫০ হাজার ১২৫ কোটি টাকা তুলে নিয়ে গিয়েছে। কিন্তু পরিবর্তে বকেয়া প্রায় ২ লক্ষ কোটি টাকা দেয়নি। তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ডের দেওয়া আর্থিক খতিয়ান অনুযায়ী –