AIDSO: কোতোয়ালি থানার লকআপে নৃশংস অত্যাচারের অভিযোগ, হাইকোর্টে মামলা নিগৃহীত ৪ AIDSO নেত্রীর

AIDSO: বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করেন AIDSO-র চার নিগৃহীত নেত্রী। তাঁদের মুখে উঠে আসে সেদিন মেদিনীপুরের কোতোয়ালি থানার লকআপের নৃশংস অত্যাচারের বর্ণনা। নিগৃহীত সুশ্রীতা সোরেন মুখে নিগ্রহের কথা শুনলে শিউরে উঠতে হয়।

AIDSO: কোতোয়ালি থানার লকআপে নৃশংস অত্যাচারের অভিযোগ, হাইকোর্টে মামলা নিগৃহীত ৪ AIDSO নেত্রীর
হাইকোর্টে সুশ্রীতা সোরেন মামলাImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Mar 06, 2025 | 1:39 PM

কলকাতা: যাদবপুরকাণ্ডের প্রতিবাদ করায় AIDSO-র চার নেত্রীর ওপর নৃশংস অত্যাচারের অভিযোগ ওঠে মেদিনীপুরের কোতোয়ালি থানার ওসি-র বিরুদ্ধে। সেই জল গড়াল কলকাতা হাইকোর্টে। অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা ও থানার সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণের দাবিতে মামলার আবেদন জানিয়েছেন মামলকারীরা। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ মামাল দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন। সোমবার এই মামলার শুনানি।

বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করেন AIDSO-র চার নিগৃহীত নেত্রী। তাঁদের মুখে উঠে আসে সেদিন মেদিনীপুরের কোতোয়ালি থানার লকআপের নৃশংস অত্যাচারের বর্ণনা। নিগৃহীত সুশ্রীতা সোরেন মুখে নিগ্রহের কথা শুনলে শিউরে উঠতে হয়। তিনি বলেন, “৩ মার্চ আমাদের যে কর্মসূচি ছিল, তা মূলত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে। আমরা শান্তিপূর্ণভাবেই বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে যাই। আমরা কোনও রাস্তা অবরোধ, কিংবা এমন কোনও কাজ করিনি, যাতে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের হেনস্থার মুখে পড়তে হয়। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে পৌঁছানো মাত্রই বিশাল বাহিনী আমাদের তুলে নিয়ে যায়। থানায় নিয়ে যায়। সেখানে ছাত্রকর্মীদের নামিয়ে চার জন ছাত্রীকে পাটনাবাজারে মহিলা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।” তিনি আরও বলেন, “পুলিশ ভ্যান থেকে নামিয়ে সিসিটিভি আওতার বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চুলের মুঠি ধরে টেনে হিঁচড়ে লাথি মেরে ফেলে দেওয়া হয়। মেঝের মাঝখানে চার জন মুখ থুবড়ে পড়ি। ওই অবস্থাতেই ওসি-সহ পাঁচ জন পুলিশ কর্মী মিলে চড়াও হয়। মারতে থাকে, লাথি, কিল, চড় ঘুষি মারে। সেই সময়ে ওসি কোমরের বেল্ট খুলে মারতে থাকেন।”

একই অভিযোগ বর্ণালী নায়ক, রানুশ্রী বেজরাও। যদিও আরও অভিযোগ, রাজ্যের দুটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মেডিক্যাল টেস্টের পরও ইনজুরি রিপোর্ট হাতে পাননি নিগৃহীতারা। এই ঘটনায় সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার। তিনি বলেন, “এরকম ঘটনার কোনও অবকাশই নেই। সেখানে যথেষ্ট পরিমাণ সিরিয়র অফিসাররা উপস্থিত ছিলেন। মহিলা থানাতেই রাখা ছিল। রাতেই পরিবারের হাতে দিই। কেন এরকম অভিযোগ করছে জানি না। আমি বলব, একটা নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের জেলার নেতৃত্ব এটাকে ইস্যু করার চেষ্টা করছে। ”