কলকাতা: ভারতীয় আইনে প্রত্যেক অভিযুক্তকে তাঁর বক্তব্য জানানোর সুযোগ দেওয়া হয়। স্কুল সার্ভিস কমিশনের মামলায় সে কথাই উল্লেখ করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। এই প্রসঙ্গে ২০০৮ মুম্বই হামলার অন্যতম অভিযুক্ত তথা লস্কর জঙ্গি আজমল কাসভের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন বিচারপতি। নিয়োগ মামলায় বেআইনিভাবে নিযুক্ত হিসেবে যে সব চাকরি প্রার্থীদের নাম সামনে আসছে, তাঁদেরও বক্তব্য জানানোর সুযোগ দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার মূলত গ্রুপ ডি নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলায় ১৬৯৮ জনের নাম উঠে তদন্তকারী সংস্থার রিপোর্টে, যাঁদের ওএমআর-এর নম্বর বদল করে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এদিন ১৬৯৮ জনের সম্পর্কে তথ্য তলব করেছিলেন বিচারপতি। সেই মতো প্রত্যেকের নাম, ঠিকানা, স্কুলের নাম আদালতে পেশ করা হয়। এরপরই বিচারপতি বলেন, ‘যে দেশের আইন আজমল কাসভকে তাঁর বক্তব্য জানানোর সুযোগ দেয়, সেখানে এই বিতর্কিত নিয়োগ প্রাপ্তদেরও বক্তব্য জানানোর সুযোগ পাওয়া উচিত।’ অর্থাৎ যাঁদের নাম সামনে এসেছে, তাঁরাও যে যুক্তি দিতে পারবেন, সে কথাই উল্লেখ করেছেন বিচারপতি।
যে ১৬৯৮ জনের নাম আদালতে পেশ করা হয়েছে, তাঁদের সম্পর্কিত তথ্য় প্রতিটি জেলার ডিআই-কে পাঠানো হচ্ছে। ডিআই তাঁদেরকে এ বিষয়ে জানাবেন। মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে ২৪ জানুয়ারি। সে দিন পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে জানানো হবে।
যাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৩, তিনি ওএমআর শিটে আসলে পেয়েছেন শূন্য। এমনই সব অভিযোগ সামনে এসেছে। এর আগে এসএসসি-র নবম-দশমের নিয়োগের ক্ষেত্রেও একইভাবে নম্বর বদল করে নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে।