
কলকাতা: নিজেদের দাবি করে ‘প্রকৃত সনাতনী জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দল’ হিসেবে। কথা হচ্ছে, অখিল ভারত হিন্দু মহাসভাকে নিয়ে। মঙ্গলবার নবান্নে মমতার ডাকা সর্বদল বৈঠকেও উপস্থিত ছিল তারা। আর সেখানে ‘সনাতনী জাতীয়তাবাদী’ এই সংগঠনকে দেখা গেল ‘মাতৃসমা’ মমতায় একেবারে মুগ্ধ। দেশের ‘অন্যতম প্রাচীন রাজনৈতিক দল’ হিসেবে নিজেদের পরিচয় দেওয়া অখিল ভারত হিন্দু মহাসভার সভাপতি চন্দ্রচূড় গোস্বামী এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পায়ে হাত দিয়ে প্রণামের ইচ্ছাও প্রকাশ করলেন।
একইসঙ্গে বিজেপিকেও খোঁচা দিতে ছাড়লেন না অখিল ভারত হিন্দু মহাসভার সভাপতি। বললেন, ‘আমরা কোনও সাধারণ রাজনৈতিক দল নই। আজ মিডিয়ার দৌলতে যারা সনাতনী জাতীয়তাবাদের কথা বলছে, তারা যাদের পিতা মানে, তাদের সেই রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের জন্ম হয়েছে আমাদের থেকেই। আরএসএস বা বিজেপি বা অন্য যে কোনও রাজনৈতিক দল যদি আমার বাংলাকে ভাগ করতে চায়, তাহলে সবার আগে রুখে দাঁড়াবে যে রাজনৈতিক দল, তা অবশ্যই অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভা।’
উল্লেখ্য, বঙ্গ বিজেপির অনেক নেতাকেও সাম্প্রতিক অতীতে বার বার সনাতনী জাতীয়তাবাদের কথা বলতে দেখা গিয়েছে। আর এদিন নবান্ন সভাঘরে বিজেপিকে কখনও নাম করে, কখনও নাম না করে খোঁচা দিয়ে গেলেন অখিল ভারত হিন্দু মহাসভার সভাপতি। বললেন, ‘অন্য রাজনৈতিক দল আমাদের কথা কীভাবে বলছেন, তাঁদের মঞ্চ থেকে, তার দায় বা দায়িত্ব আমাদের নয়। কিন্তু আমরা অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভা নিজেদের প্রকৃত সনাতনী জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দল বলে বিশ্বাস করি।’
প্রসঙ্গত, বিজেপি চাইছে ২০ জুন পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন হোক। কিন্তু, অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা এদিন জানিয়ে দিল, তারা পয়লা বৈশাখের পক্ষেই। একইসঙ্গে যদি কোনও রাজনৈতিক দল বাংলা ভাগের চেষ্টা করে, তাদের বিরুদ্ধেও অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা রুখে দাঁড়াবে বলে আশ্বাস দিলেন সংগঠনের সভাপতি।
বিষয়টি নিয়ে রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের সঙ্গে যোগাযোগা করা হলে, তিনি এই বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি। পাল্টা কটাক্ষের সুরে বলেছেন, ‘যে সে, যা খুশি বলবে, সবার সব কথার উত্তর হয় নাকি!’