Aliah University Controversy: ‘মুখ্যমন্ত্রীকে জানাতে বাধ্য হয়েছিলাম’, পাঁচ মাস আগে ঠিক কী হয়েছিল? মুখ খুললেন আলিয়ার উপাচার্য
Aliah University Controversy: সেই সময়েও এই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যে গণ্ডগোল হয়, তার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন গিয়াসউদ্দিন।
কলকাতা : শিক্ষাঙ্গনে রাজনৈতিক প্রভাব! উপাচার্যের সঙ্গে অভব্য আচরণের সাহস এল কোথা থেকে? আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্প্রতি যে ঘটনা ঘটেছে, তাতে এমন অনেক প্রশ্নই সামনে আসছে। তাঁর ঘরে ঢুকে যে ভাবে হুমকি দেওয়া হয়েছে, এখনও পর্যন্ত সেই আতঙ্ক কাটিয়ে উঠতে পারেননি উপাচার্য মহম্মদ আলি। তবে পাঁচ মাস আগে অর্থাৎ গত বছরের নভেম্বরে ঠিক কী ঘটেছিল? কেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিতে হয়েছিল? TV9 বাংলার মুখোমুখি হয়ে সেই তথ্যই জানালেন উপাচার্য। তিনি জানিয়েছেন, সেই সময়েও গিয়াসউদ্দিন সহ বেশ কয়েকজন বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে গণ্ডগোল করেছিল, যার দায় নিতে হয়েছিল তাঁকে।
‘খুব ট্রমাজাইড, ঘুমোতে পারিনি’
তাঁর ঘরে ঢুকে যে ভাবে তাণ্ডব চালানো হয়েছে, তাতে এখনও মানসিকভাবে আতঙ্কে রয়েছেন উপাচার্য মহম্মদ আলি। তিনি জানান, মানসিকভাবে অত্যন্ত বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, আমি উপাচার্য থাকি বা না থাকি, কারও পক্ষেই এই ঘটনা মেনে নেওয়া সম্ভব নয়।
উপাচার্য জানান, ওই ঘটনার পর চিকিৎসক তাঁকে ওষুধ দিয়েছিলেন, সেই ওষুধ খেয়ে ঘুমোতে হয়েছিল। আর যখন নিজেকে একটা ঘরে বন্ধ করে বসেছিলেন, তখন নিরাপত্তা চেয়ে ফোন করেছিলেন টেকনো সিটি থানায়। থানা থেকে পুলিশ বলেছিল, ‘দেখছি কী করা যায়।’ কিন্তু যখন দরকার ছিল, তখন কেউ আসেননি বলেই জানিয়েছেন উপাচার্য।
‘আমার ওপর দায় চাপানো হয়েছিল’
জানা গিয়েছে, পদত্যাগের কথা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছিলেন তিনি। পদত্যাগ গৃহীতও হয়েছিল। কিন্তু উপাচার্য দাবি করেন, আসলে পদত্যগ করেননি। পুরো ঘটনা জানিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটি চিঠি দিয়েছিলেন তিনি। উপাচার্য জানান, ওই সময় মন্ত্রীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছিলেন। আর তখনই গিয়াসউদ্দিন ও অন্যান্যরা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে একটা ঝামেলা করে। উপাচার্যের অভিযোগ, সেই ঘটনার দায় চাপানো হয়েছিল তাঁর ওপরেই। তাঁকে বলা হয়েছিল, কেন পুলিশকে খবর দেওয়া হয়নি? উপাচার্যের দাবি, কোনও মন্ত্রী কোথাও গেলে সাধারণত থানাকে আগে থেকে জানানোই থাকে।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দিতে চলেছেন মহম্মদ আলি
তাঁর এখনও সাড়ে ৫ বছর চাকরি রয়েছে, তাই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দিতে চান তিনি। সেখানেই কাজ করতে চান। মহম্মদ আলি জানিয়েছেন, তাঁর আমলে কোনও বেআইনি কাজ হয়নি বিশ্ববিদ্যালয়ে। তবে তাঁর যে প্রাণসংশয় রয়েছে, এ কথা স্বীকার করেছেন তিনি।