Aliah University Controversy: প্রায় পাঁচ মাস আগে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে পদত্যাগ করেছিলেন আলিয়ার উপাচার্য
Aliah University Controversy: গত বছরের নভেম্বর মাসেই পদত্য়াগ করতে চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছিলেন তিনি। পরে তাঁকে সেই অনুমতিও দেওয়া হয়।
কলকাতা : অনেক দিন আগেই পদত্যাগ করছিলেন আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। সম্প্রতি তাঁর ঘরে ঢুকে তাঁকে হেনস্থা করার ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতার বিরুদ্ধে। আর এই বিতর্কের মাঝেই প্রকাশ্যে এসেছে একটি চিঠি, যেখানে পদত্যাগ করার কথা জানিয়ে ছিলেন উপাচার্য। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সেই চিঠি লিখেছিলেন তিনি। পরে তাঁর সেই চিঠি গৃহীত হয়, উত্তরও আসে নবান্ন থেকে। কিন্তু কাজ চালিয়ে যান উপাচার্য।
২০২১-এর ২২ নভেম্বর মুখ্যমন্ত্রীকে ওই চিঠি লেখেন তিনি। সেখানে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য লিখেছিলেন, ১৮ নভেম্বর রাজ্যের মন্ত্রী গোলাম রব্বানি, সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী, সাবিনা ইয়াসমিন এবং আখরুজ্জামান আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনে করেন। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে আলোচনা হয়েছিল বলেও জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু, আলোচনার পর যখন মন্ত্রীরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেরচ্ছিলেন, সেই সময় এক বহিষ্কৃত ছাত্রের নেতৃত্বে কিছু ছাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে বিক্ষোভ দেখিয়ে স্লোগান দিতে থাকে।
তিনি জানিয়েছিলেন, মন্ত্রীদের গাড়ি যখন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেরোচ্ছিল, সেই সময় পার্ক সার্কাস ক্যাম্পাসের কিছু পড়ুয়া থেকে কিছু ছাত্র সেখানে এসে পৌঁছয়। কনভয় কিছুক্ষণের জন্য দাঁড়িয়ে যায়। পরে নিরাপদে মন্ত্রীরা বেরিয়ে যান। এই ঘটনার কথা উল্লেখ করেই পদত্যাগ করেন তিনি। ওই ঘটনার নৈতিক দায় নিয়ে পদ থেকে সরে যেতে চান তিনি। যেহেতু ঘটনাটি বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরের মধ্যে ঘটেছে, তাই দায় নেন নিজেই। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে এই ধরনের কাজ হওয়া উচিত নয় বলেও উল্লেখ করেছিলেন তিনি। মাসখানেক পর তাঁর পদত্যাগ গৃহীত হয়।
এ দিকে, আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে হেনস্থা ও গালিগালাজ করায় অভিযুক্ত গিয়াসউদ্দিন মণ্ডলকে সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই রাজ্যের শাসক দলকে আক্রমণ শানিয়েছেন বিরোধীরা। অভিযুক্ত গিয়াসউদ্দিন মণ্ডল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রাক্তন নেতা। যদিও তৃণমূলের বক্তব্য, অভিযুক্তকে আগেই তাদের শাখা সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল।