AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Kolkata Police: আদালতে অসম-হরিয়ানার পুলিশ, ওয়াজাহাতকে হেফাজতে নিতে কী বলল কলকাতা পুলিশ?

Kolkata Police: সরকারি আইনজীবী বলেন, "আমরা পুলিশি হেফাজতে চাইছি। এই আসামি যে পোস্ট করেছিলেন, সেগুলো ডিলিট করেছেন। যেগুলো পাওয়া যায়নি। খোঁজা দরকার। দুটি মোবাইল উদ্ধার করতে হবে। লিঙ্ক দরকার। তাই পুলিশ হেফাজতে নেওয়া দরকার।"

Kolkata Police: আদালতে অসম-হরিয়ানার পুলিশ, ওয়াজাহাতকে হেফাজতে নিতে কী বলল কলকাতা পুলিশ?
ওয়াজাহাত খান
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 10, 2025 | 10:10 PM

কলকাতা: ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে কলকাতা পুলিশের হাতে ধৃত ওয়াজাহাত খানকে ১৬ জুন পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিল আলিপুর আদালত। আবার হরিয়ানার পুলিশও ওয়াজাহাতকে নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়েছিল। কিন্তু, কলকাতা পুলিশ ওয়াজাহাতকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ায় হরিয়ানা পুলিশের আবেদন মঞ্জুর হল না। মঙ্গলবার আলিপুর আদালতে উপস্থিত ছিল অসম পুলিশও। তবে তারা ওয়াজাহাতকে নিজেদের হেফাজতে চেয়ে কোনও আবেদন জানায়নি।

গতমাসের ১৫ তারিখে পুনের আইনের ছাত্রী শর্মিষ্ঠা পানোলির বিরুদ্ধে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে গার্ডেনরিচ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ওয়াজাহাত। এরপর গুরুগ্রাম থেকে শর্মিষ্ঠাকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। অন্যদিকে, শর্মিষ্ঠার বিরুদ্ধে অভিযোগকারী ওয়াজাহাতের বিরুদ্ধেও ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। গল্ফগ্রিন থানা-সহ একাধিক জায়গায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। অসম ও হরিয়ানাতেও দায়ের হয় অভিযোগ।

গল্ফগ্রিন থানার মামলায় সোমবার কলকাতা পুলিশ আমহার্স্ট স্ট্রিট থানা এলাকা থেকে ওয়াজাহাতকে গ্রেফতার করে। এদিন তাঁকে আলিপুর আদালতে তোলা হয়। ২৩ জুন পর্যন্ত ধৃতকে নিজেদের হেফাজতে চায় কলকাতা পুলিশ।

এই খবরটিও পড়ুন

এদিন সরকারি আইনজীবী বলেন, “অভিযুক্ত ২০২২ সাল থেকে দেশব্যাপী হিংসা ছাড়ানোর চেষ্টা করেছেন। FIR-এ যতটা পেরেছি দিয়েছি। এফআইআর-এ বিস্তারিত না দিয়ে সিডি তে দেওয়া হয়েছে। নয়তো ছড়িয়ে যেতে পারে।” তখন বিচারক বলেন, এক্স হ্যান্ডেলে সব দেখা যাচ্ছে, তাহলে FIR-এ দিলে কী হবে?

সরকারি আইনজীবী বলেন, “আমরা পুলিশি হেফাজতে চাইছি। এই আসামি যে পোস্ট করেছিলেন, সেগুলো ডিলিট করেছেন। যেগুলো পাওয়া যায়নি। খোঁজা দরকার। দুটি মোবাইল উদ্ধার করতে হবে। লিঙ্ক দরকার। তাই পুলিশ হেফাজতে নেওয়া দরকার।”

হরিয়ানা পুলিশ এদিন আদালতে সোশ্য়াল মিডিয়াতে পোস্টের কথা উল্লেখ করে সেই সংক্রান্ত নথি তুলে ধরে। পাশাপশি ওয়ারেন্ট দেখিয়ে আদালতে শোন অ্যারেস্ট করার আবেদন জানায়। অভিযুক্তর আইনজীবী তাঁর সওয়ালে বলেন, “গল্ফগ্রিনের মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। কী পোস্ট সেটা তদন্তের প্রয়োজন। ২ তারিখ লিখিত অভিযোগ হল। রেকর্ডে কোনও সিজার পাইনি। ৩ বছর আগের পোস্ট। বিচার পাওয়ার অধিকার আছে। অন্যান্য রাজ্য কী চাইছে সেটা কোর্টের ব্যাপার। কিন্তু জামিন চাইছি।”

সবপক্ষের সওয়াল শেষে ওয়াজাহাতকে ১৬ জুন পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। কলকাতা পুলিশ ধৃতকে হেফাজতে নেওয়ায় হরিয়ানা পুলিশ তাদের হেফাজতে পেল না। ১৬ জুন আদালত কী নির্দেশ দেয়, সেটাই দেখার।