কলকাতা: তৃণমূলে (TMC) যোগ দেওয়ার পরই দায়িত্ব বাড়ল প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী যশবন্ত সিনহার (Yashwant Sinha)। দলের ন্যাশনাল ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য করা হল তাঁকে। একইসঙ্গে এখন থেকে তিনি তৃণমূলের সহ-সভাপতিও (Vice President)। বিধানসভা ভোটের আবহে রাজনৈতিক সন্ন্যাস কাটিয়ে যশবন্ত সিনহার সক্রিয় রাজনীতিতে ফেরা এবংমমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্ত করে ধরা– শুধুমাত্র এ রাজ্যের ভোটের জন্যই নয়, ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের জন্যও অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর সময় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন যশবন্ত সিনহা। দেশের অর্থমন্ত্রক সামলানোর পাশাপাশি বিদেশমন্ত্রকও সামলেছেন তিনি। সেই যশবন্ত গত শনিবার তৃণমূলে যোগ দিয়েই বলেছিলেন, ‘গণতন্ত্রের জন্য’ সক্রিয় রাজনীতিতে ফিরলেন তিনি। বৃহৎ পরিসরে এই রাজনীতির অর্থ যে যথেষ্ট অর্থবাহী তা সে দিনই অনুমান করা গিয়েছিল। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ বার তাঁর দলের অমন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পদটিতে বসালেন প্রবীণ এই পোড় খাওয়া রাজনীতিককে। কার্যত তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর তৃণমূলের সর্বোচ্চ পদে বসানো হল যশবন্ত সিনহাকে।
এক সময় নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহর প্রতি ক্ষোভ থেকেই বিজেপি ছাড়েন যশবন্ত সিনহা। পদ্মর পাপড়ি খসিয়ে রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস নেন তিনি। ২০১৮ সালে যে দিন পটনায় বিজেপি ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন যশবন্ত, সে দিন বলেছিলেন, ‘বিপন্ন গণতন্ত্র’ রক্ষার লড়াই তিনি চালিয়ে যাবেন। গত সপ্তাহে তৃণমূল ভবনে বসেও চার বছর আগের সুরই শোনা গিয়েছে তাঁর গলায়। যশবন্ত সেই মানুষ, যিনি লালকৃষ্ণ আডবানী, অটল বিহারী বাজপেয়ীর কাছ থেকে সংগঠনের ভিত্তি শক্ত করার মন্ত্র শিখেছিলেন। বিজেপির অন্দরমহল এবং অন্তর্মহল, সব অলিন্দেরই পথ চেনা তাঁর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে সেই যশবন্তের দাঁড়ানো নিঃসন্দেহে তৃণমূলের জন্য একটা আলাদা মাত্রা যোগ করে।