কলকাতা: নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে (Recruitment Scam) একের পর এক গ্রেফতারি। ইডি-সিবিআই-এর জোড়া তদন্তে এখনও পর্যন্ত ২১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তালিকায় রয়েছেন হেভিওয়েট থেকে শুরু করে ছোট-বড়-মাঝারি নেতারা। রয়েছে বিভিন্ন মিডলম্যানও। এবার নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে নাম জড়াল পূর্ব মেদিনীপুরের এক স্কুল শিক্ষকের। কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী। অভিযোগ, বিগত কয়েক বছর ধরে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে মোটা অঙ্কের টাকা তুলে প্রতারণা করেছেন তিনি। ওই শিক্ষক ২০১৮ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে প্রায় ৫ কোটি টাকা তুলেছেন বলে অভিযোগ চাকরিপ্রার্থীদের। চাকরিপ্রার্থীদের তরফে আইনজীবী কৌস্তভ বাগচি এই বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে আনেন এবং মামলা দায়েরের অনুমতি চান। হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা (Justice Rajasekhar Mantha) মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন। আগামী সপ্তাহে এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
মামলাকারীদের অভিযোগ, শুধুমাত্র গ্রুপ ডি, গ্রুপ সি, প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক বা নবম-দশম নিয়োগের ক্ষেত্রে নয়, যে কোনও সরকারি দফতরে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা করা হয়েছে। এই নিয়ে জেলা স্তরে পুলিশের কাছে অভিযোগও জানানো হয়েছিল। কিন্তু পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানোর পরেও কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ। এমন অবস্থায় যাতে তদন্তকারী সংস্থার বদল করা হয়, সেই আবেদন জানিয়েছেন মামলাকারী। পুলিশের বদলে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিয়ে ঘটনার তদন্ত করানোর আর্জি জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে সিবিআই এর আগেই শাহিদ ইমাম নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। তিনিও পেশায় স্কুল শিক্ষক। প্রাথমিক স্কুলে চাকরি করতেন শাহিদ। কিন্তু শোনা যায়, তাঁকে নামে স্কুলেই দেখা যেত না। অথচ সেই স্কুল শিক্ষক শাহিদের সঙ্গে বলিউড অভিনেত্রীর গানের ভিডিয়োও রয়েছে। এমনই সব তথ্য উঠে এসেছে শাহিদের বিষয়ে। এবার পূর্ব মেদিনীপুরের এক স্কুল শিক্ষকের নামেও হাইকোর্টে অভিযোগ জানালেন চাকরিপ্রার্থীরা। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়টিও যাতে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত করানো হয়, সেই আবেদন জানানো হয়েছে হাইকোর্টে।